SSC মামলা: ২৬,০০০ চাকরি ফেরাতে জনস্বার্থ মামলা, শুনানি এই মাসেই, সুপ্রিম কোর্টে নতুন আশার আলো

SSC মামলা: পশ্চিমবঙ্গের ২০১৬ সালের এসএসসি (SSC) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাতিল হওয়া ২৬,০০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি ফেরানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (Public Interest Litigation) দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটি হাজার হাজার চাকরিহারা মানুষের জন্য নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের পর এই আইনি পদক্ষেপকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মামলার প্রধান বিষয়বস্তু
এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন সায়ান আদিত্য নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত নন। তিনি একজন পূর্বনিযুক্ত শিক্ষক। তাঁর প্রধান যুক্তি হলো, যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের একসাথে বাতিল করে দেওয়াটা ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। তিনি মনে করেন, সুপ্রিম কোর্ট ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি ন্যায্য বিচার করেনি। এই মামলায় সরাসরি ভারত সরকারকে (Union of India) প্রতিপক্ষ করা হয়েছে, যা বিষয়টির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মামলার বর্তমান স্থিতি ও শুনানির তারিখ
সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই মামলার ডায়রি নম্বর হলো ৩৮৭৪৭/২০২৫ এবং এটি দায়ের করা হয়েছে ১৭ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে। মামলা সম্পর্কিত সমস্ত ডিফেক্ট, যা মূলত কোর্ট ফি সংক্রান্ত ছিল, তা সংশোধন করে মামলাটি এখন শুনানির জন্য প্রস্তুত।
- মামলার ডায়েরি নম্বর: ৩৮৭৪৭/২০২৫
- পিটিশনার: সায়ান আদিত্য
- প্রতিপক্ষ: ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া
- সম্ভাব্য শুনানির তারিখ: ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫
মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য আবেদনও করা হয়েছে, এবং পিটিশনার নিজেই এই মামলায় সওয়াল করার অনুমতি চেয়েছেন। যদিও শুনানির একটি সম্ভাব্য তারিখ ধার্য করা হয়েছে, তবে কোন বিচারপতিদের বেঞ্চে এবং কত নম্বর কোর্টরুমে শুনানি হবে, তা এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনজনস্বার্থ মামলার ভিত্তি কী?
এই মামলার মূল ভিত্তি হলো মানবিক এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা। পিটিশনারের মতে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কারণে বহু যোগ্য প্রার্থীও চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এই জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে তিনি মূলত সেই সমস্ত যোগ্য শিক্ষকদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে সংবিধানের বিভিন্ন ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
এই জনস্বার্থ মামলাটি ২৬,০০০ চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদি সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন গ্রহণ করে এবং নতুন করে শুনানির মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়, তবে অনেকেই তাঁদের চাকরি ফিরে পেতে পারেন। আপাতত সকলের নজর রয়েছে ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের দিকে, যেদিন এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এই মামলার প্রতিটি আপডেট পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সহায়ক হবে।