
Upper Primary Recruitment: অবশেষে দশ বছরের অপেক্ষার অবসান! উচ্চ প্রাথমিকের প্রায় ১২০০ প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। দীর্ঘ আইনি জটিলতা এবং চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের পর, দুর্গাপুজোর পরেই মেধাতালিকায় থাকা ১,২৪১ জন প্রার্থীর কাউন্সেলিং শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া চাকরিপ্রার্থী মহলে।
মূল ঘটনাপ্রবাহ: কী বলছে আদালত ও কমিশন?
কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পরেই এই তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মধ্যে। আদালত অবমাননার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, বিচারপতি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই নির্দেশকে মাথায় রেখেই শিক্ষা দপ্তর জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছ থেকে শূন্যপদের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হওয়ারই ইঙ্গিত।
জুলাই মাসে অষ্টম দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর থেকেই পুরো বিষয়টি বিশ বাঁও জলে ছিল। কোনো নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপেই জট খুলতে চলেছে।
চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘ লড়াই এবং ভবিষ্যৎ
গত দশ বছর ধরে এই চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের আশায় দিন গুনছেন। রাস্তায় নেমে আন্দোলন থেকে শুরু করে আইনি লড়াই – কোনো পথই বাকি রাখেননি তাঁরা। এই দীর্ঘ সময়ে অনেকেই অবসাদের শিকার হয়েছেন, হারিয়েছেন চাকরির বয়স। অবশেষে তাঁদের এই লড়াই সফল হতে চলেছে। কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হলে মেধাতালিকা অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীরা নিজেদের পছন্দের স্কুল বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন এবং দ্রুত নিয়োগপত্র হাতে পাবেন বলে আশা করা যায়।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হননিয়োগ প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
- মোট প্রার্থী: প্রায় ১,২৪১ জন।
- কাউন্সেলিং শুরু: পুজোর পর।
- আদালতের ডেডলাইন: ২০ নভেম্বর।
- বর্তমান পদক্ষেপ: শিক্ষা দপ্তর কর্তৃক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ।
এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়াই সচল করবে না, রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবও কিছুটা পূরণ করবে। এখন দেখার বিষয়, কমিশন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে কিনা। চাকরিপ্রার্থীরা তাকিয়ে আছেন সেই দিকেই।