TET বিরোধী আন্দোলন: ৯ রাজ্যের শিক্ষকরা একজোট! তৈরি হলো নতুন সংগঠন TFI, দিল্লিতে বড় সমাবেশের ডাক
Teachers Federation: শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (TET) নিয়ে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে এক নতুন বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে, দেশের নয়টি রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনগুলি এক ছাতার তলায় এসে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। লক্ষ লক্ষ স্কুল শিক্ষকের স্বার্থে বাধ্যতামূলক টেট-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে তারা “টিচারস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া” বা TFI নামে একটি নতুন সর্বভারতীয় সংগঠন তৈরি করেছে। এই সংগঠনটি আগামী দিনে দেশব্যাপী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বলে জানা গেছে।
টিচারস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (TFI): এক নতুন সূচনা
উত্তরপ্রদেশ সহ মোট নয়টি রাজ্যের প্রভাবশালী শিক্ষক সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে এই নতুন ফেডারেশন গঠন করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, বাধ্যতামূলক শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষার (TET) বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত এবং শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা। উত্তরপ্রদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি, ডক্টর দিনেশ চন্দ্র শর্মা, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অল ঝাড়খন্ড প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী রামমূর্তি ঠাকুরের সভাপতিত্বে টিএফআই (TFI) গঠন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি দেশ জুড়ে শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্যের এক নতুন দিশা দেখিয়েছে।
কোন কোন রাজ্য রয়েছে এই ফেডারেশনে?
এখনও পর্যন্ত নয়টি রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন এই মহাজোটে সামিল হয়েছে। রাজ্যগুলি হলো:
- উত্তরপ্রদেশ
- বিহার
- উত্তরাখন্ড
- ঝাড়খন্ড
- দিল্লি
- ছত্তিশগড়
- মধ্যপ্রদেশ
- হরিয়ানা
- রাজস্থান
ঝাড়খন্ড প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের শিক্ষকদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্যই তারা TFI-এর সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে আরও কয়েকটি রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন এই ফেডারেশনে যোগ দিতে পারে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনআন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা
এই নবগঠিত ফেডারেশনের পথচলা এবং আন্দোলনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৫শে নভেম্বর দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে টিএফআই-এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভাতেই আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা, যেমন দিল্লিতে কবে সমাবেশ করা হবে এবং প্রতিবাদের ধরন কী হবে, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফেডারেশনের অন্যান্য পদাধিকারীদের নাম ইতিমধ্যেই ২৫শে অক্টোবর একটি সভায় নির্বাচিত করা হয়েছে। এই নতুন কমিটিই দেশব্যাপী এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকবে। শিক্ষকদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আগামী দিনে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।