TET Wrong Question Case: ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমার কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের, জট কাটবে টেট প্রশ্নভুল মামলার?
TET Wrong Question Case: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ২০২২ সালের টেট প্রশ্নভুল মামলার শুনানিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি তব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশের ফলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা মামলাটিতে নতুন গতি এল এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
আজ, বিচারপতি তব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলাকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। শুনানির কেন্দ্রে ছিল বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিলম্ব।
শুনানির মূল বিষয়বস্তু
শুনানির শুরুতে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, ইংরেজি এবং গণিতের প্রশ্ন সংক্রান্ত সমস্যার নিষ্পত্তির জন্য একটি অতিরিক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ১১ জুলাই, ২০২৫-এর একটি অর্ডার অনুযায়ী, তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি, যার ফলে মামলাকারীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
পর্ষদের আইনজীবীর যুক্তি:
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনঅন্যদিকে, পর্ষদের আইনজীবী সুবিশাল সান্যাল জানান যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে, তারা সেই রিপোর্টটি ডিভিশন বেঞ্চের পরিবর্তে সিঙ্গেল বেঞ্চে জমা দিতে চান। তিনি এটিকে একটি “ডিসপোজ ম্যাটার” বলে যুক্তি দেন এবং ২৩শে আগস্টের একটি অর্ডারের কথা উল্লেখ করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথমে ৭টি পেডাগজি প্রশ্ন নিয়ে সমস্যা ছিল, এবং তৎকালীন বিশেষজ্ঞরা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না চাওয়ায় অতিরিক্ত কমিটি চাওয়া হয়েছিল।
ডিভিশন বেঞ্চের কড়া অবস্থান ও নির্দেশ
উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি স্পষ্ট জানান যে, যেহেতু ডিভিশন বেঞ্চই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে, তাই সেই রিপোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের কাছেই জমা দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চ সেই রিপোর্ট চাইতেই পারে… আমরা রিপোর্টটি দেখতে চাই, তারপর ট্রায়াল কোর্ট পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”
আইনজীবীদের মধ্যে সওয়াল-জবাবের সময় মামলাকারীদের পক্ষের আরেকজন সিনিয়র আইনজীবী বলেন, এই রিপোর্ট জমা না হওয়ার কারণে ২০২৫-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও মামলাকারীরা তাতে অংশ নিতে পারছেন না।
চূড়ান্ত নির্দেশ:
প্রথমে বিচারপতি রিপোর্টটি পরের দিনই জমা দেওয়ার কথা বললেও, পর্ষদের পক্ষ থেকে আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস ছটপুজোর ছুটির কারণে অপারগতা প্রকাশ করেন। সবদিক বিবেচনা করে, ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি পুনরায় ৩১শে অক্টোবর, প্রথম ম্যাটার হিসেবে মেনশন করার নির্দেশ দেয় এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে ওই তারিখের মধ্যেই রিপোর্টটি জমা করতে হবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মামলাটি যাতে সিঙ্গেল বেঞ্চে গিয়ে আরও বিলম্বিত না হয়, সেই কারণেই বিচারপতি এই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।