Women’s World Cup: ইতিহাস গড়ল ভারত! প্রথমবার মহিলা বিশ্বকাপ জয়, ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া
Women’s World Cup: অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হলো। কোটি কোটি ভারতবাসীর প্রার্থনা এবং ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম সফল হলো। মুম্বাইয়ের মাঠে ইতিহাস রচনা করে ভারত প্রথমবারের মতো মহিলা বিশ্বকাপ (ODI) জিতেছে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় পরল ভারতের মেয়েরা। এই ঐতিহাসিক জয় ভারতীয় ক্রীড়া জগতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস লড়াই
২০২৫ সালের মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি ছিল টানটান উত্তেজনায় ভরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দল নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রানের এক বিশাল স্কোর খাড়া করে। দলের ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বড় রান তোলা সম্ভব হয়। ভারতের এই শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বেশ বেগ পেতে হয়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করে। তবে ভারতীয় বোলারদের নিখুঁত বোলিং এবং দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের সামনে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়া বাহিনী। শেষ পর্যন্ত, তারা ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৫২ রানের এই জয় ভারতের জন্য শুধুমাত্র একটি ম্যাচ জয় ছিল না, ছিল বিশ্বজয়ের স্বপ্নপূরণ।
তৃতীয়বারের চেষ্টায় ঐতিহাসিক সাফল্য
এই নিয়ে ভারত তৃতীয়বার মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। আগের দুটি ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলেও, এবার আর কোনো ভুল হয়নি। দৃঢ় সংকল্প এবং অসাধারণ টিমওয়ার্কের জোরে ভারত শেষ পর্যন্ত বিশ্বজয়ের স্বাদ পেল। এই জয় শুধু বর্তমান দলের নয়, বরং সেই সমস্ত প্রাক্তন ক্রিকেটারদের প্রতিও উৎসর্গীকৃত, যারা বছরের পর বছর ধরে ভারতে মহিলা ক্রিকেটের ভিত তৈরি করেছেন।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনফাইনালের স্কোরবোর্ড একনজরে
| দল (Team) | স্কোর (Score) |
|---|---|
| ভারত (India) | ২৯৮/৭ |
| দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) | ২৪৬ |
মুম্বাইয়ের স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক এবং টিভির পর্দায় চোখ রাখা কোটি কোটি ভারতবাসী এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল। এই জয় আগামী প্রজন্মের মহিলা ক্রিকেটারদের নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করবে এবং ভারতে মহিলা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তুলবে।