SLST Cutoff Marks: SLST চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিরাট সুখবর! আরও কমছে একাদশ-দ্বাদশের কাটঅফ, কারা ডাক পাবেন?
SLST Cutoff Marks: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমে আয়োজিত এসএলএসটি (SLST) একাদশ ও দ্বাদশ স্তরের (11-12) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক খবর উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত কাটঅফ মার্কস (Cutoff Marks) বর্তমানের তুলনায় আরও অনেকটা নিচে নামার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কমিশনের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি বড়সড় মোড় এসেছে, যার ফলে মেধা তালিকার অপেক্ষাকৃত নিচের দিকে থাকা বহু নতুন প্রার্থীর ইন্টারভিউ এবং ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ডাক পাওয়ার সুযোগ উজ্জ্বল হয়েছে।
কেন কমছে কাটঅফ মার্কস?
ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন কমিশন বেশ কিছু গুরুতর অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে। প্রার্থীরা বিভিন্ন কারণে বাতিল হচ্ছেন বা অনুপস্থিত থাকছেন, যার ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শূন্যস্থান তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতির প্রধান কারণগুলি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
- ভুল তথ্য ও নম্বরের গরমিল: প্রায় ৩০০-র বেশি প্রার্থী অনলাইন আবেদনের সময় তাদের একাডেমিক মার্কস বা শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার (Teaching Experience) নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ভেরিফিকেশনের সময় মূল নথিপত্রের সাথে তাদের দাবিকৃত তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, হয় তাদের নম্বর কমে যাচ্ছে, নতুবা ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অপরাধে তারা সম্পূর্ণভাবে এই প্রক্রিয়া থেকে বাতিল হয়ে যাচ্ছেন।
- সাবস্ট্যান্টিক পোস্ট (Substantive Post) সমস্যা: কমিশনের নিয়মাবলী অনুসারে, অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পেতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ‘সাবস্ট্যান্টিক পোস্টে’ বা স্থায়ী পদে কর্মরত থাকতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রার্থী যারা কন্ট্রাকচুয়াল বা অস্থায়ী পদে কাজ করেছেন, তারাও অভিজ্ঞতার নম্বর দাবি করেছিলেন। ভেরিফিকেশনে এই বিষয়টি ধরা পড়ায় তাদের অভিজ্ঞতার নম্বর শূন্য হয়ে যাচ্ছে, যা তাদের সামগ্রিক স্কোরে বড় প্রভাব ফেলছে।
- প্রার্থীদের অনুপস্থিতি: গত কয়েক দিনের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় দেখা গেছে, প্রায় ২০০ জন প্রার্থী উপস্থিতই হননি। কমিশনের কড়া নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত দিনে ভেরিফিকেশনে অনুপস্থিত থাকা মানেই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া। এই প্রার্থীদের আর দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে না।
নিচে বাতিল বা অনুপস্থিতির একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান দেওয়া হলো:
| সমস্যার ধরণ | আনুমানিক সংখ্যা/বিবরণ |
|---|---|
| ভুল তথ্য ও ভুয়ো মার্কস | ৩০০+ প্রার্থী |
| অনুপস্থিত প্রার্থী | ২০০ জন (প্রায়) |
| অভিজ্ঞতার সমস্যা | সাবস্ট্যান্টিক পোস্ট না হওয়া |
বিষয়ভিত্তিক অসামঞ্জস্যতা ও নতুনদের সুযোগ
শুধু ভুয়ো তথ্য বা অনুপস্থিতিই নয়, বিষয়ভিত্তিক অসামঞ্জস্যতাও কাটঅফ কমার অন্যতম কারণ। কিছু প্রার্থী যে বিষয়ের শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছেন, তাদের অভিজ্ঞতার সনদ বা এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট অন্য বিষয়ের। উদাহরণস্বরূপ, কেউ এডুকেশন (Education) বিষয়ের জন্য আবেদন করে এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। বিষয়ভিত্তিক এই অমিলের কারণেও বহু প্রার্থী বাতিল হচ্ছেন।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনসব মিলিয়ে, আনুমানিক ৫০০ জন প্রার্থী (যাদের মধ্যে ভুল তথ্য প্রদানকারী এবং অনুপস্থিতরা রয়েছেন) এই প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে যাচ্ছেন। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ১.৬ রেশিও (1.6 Ratio) বা প্রতি শূন্যপদের বিপরীতে ১.৬ গুণ প্রার্থীকে ইন্টারভিউতে ডাকার নিয়ম বজায় রাখতে কমিশন বাধ্য হয়ে তালিকার নিচের দিকে থাকা প্রার্থীদের ডাকবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কমিশনের নির্ধারিত বর্তমান ভেরিফিকেশন শিডিউল শেষ হওয়ার পরেই এই বাদ পড়া প্রার্থীদের জায়গায় নতুন তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। যারা এতদিন অল্প নম্বরের জন্য ডাক পাননি, তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। যদিও আইনি প্রক্রিয়া ও আদালতের নির্দেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে, তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ তাদের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা এখন আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি।