Teachers TET: টেট বাধ্যতামূলক মামলায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বড় আশ্বাস! সুপ্রিম কোর্টে কবে শুনানি? জানুন বিস্তারিত
Teachers TET: শিক্ষক নিয়োগ এবং যোগ্যতামান নির্ণয় সংক্রান্ত এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে, যা দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ শিক্ষকের কর্মজীবনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। সুপ্রিম কোর্টের গত ১লা সেপ্টেম্বরের রায়ের পর থেকে ইন-সার্ভিস বা কর্মরত শিক্ষকদের জন্য ‘টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট’ বা টেট (TET) বাধ্যতামূলক করা নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল, এবার সেই বিষয়ে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্তরে এক হাই-প্রোফাইল বৈঠকের পর শিক্ষকদের জন্য স্বস্তির খবর মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
টিচার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (উত্তরপ্রদেশ শাখা) একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি এই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠক এবং তার পরবর্তী আইনি পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আজকের এই প্রতিবেদনে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে হাই-প্রোফাইল বৈঠক
শিক্ষকদের টেট পাস বাধ্যতামূলক হওয়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার সমাধানের লক্ষ্যে টিচার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকটি অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে এবং মন্ত্রী মহোদয় শিক্ষকদের সমস্যার কথা গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন। বৈঠকটি মূলত দুটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল। প্রথমে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়, যেখানে তিনি বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন। এর ঠিক পরেই, সংসদ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর নিজস্ব দপ্তরে একটি বিস্তারিত বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সংসদ ভবনের এই বৈঠকে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আরটিই (RTE) অ্যাক্ট ২০০৯ এবং এনসিটিই (NCTE)-এর বিভিন্ন নিয়মাবলী ও ধারার উল্লেখ করে জোরালো যুক্তি পেশ করা হয়। কেন কর্মরত শিক্ষকদের নতুন করে টেট দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন, তা তথ্যসহ তুলে ধরা হয় মন্ত্রীর সামনে। সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক এবং তিনি এই বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনবৈঠকে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তাঁদের ভূমিকা
এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কার কী ভূমিকা ছিল, তা নিচে একটি ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো:
| নাম | পদমর্যাদা/ভূমিকা |
|---|---|
| শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান | কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (ভারত সরকার) |
| জগদম্বিকা পাল | সাংসদ (শিক্ষকদের দক্ষতা ও বাস্তব পরিস্থিতি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন) |
| দীনেশ চন্দ্র শর্মা | ফেডারেশন সভাপতি (আরটিই অ্যাক্টের আইনি ব্যাখ্যা প্রদান করেন) |
| রাধেরমন ত্রিপাঠী ও মেঘরাজ ভাটি | ফেডারেশনের সহ-সভাপতিবৃন্দ |
সুপ্রিম কোর্টে মামলার বর্তমান স্ট্যাটাস
প্রশাসনিক স্তরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও, আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে টেট বাধ্যতামূলক মামলার শুনানির দিনক্ষণ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী:
- শুনানিতে বিলম্ব: সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটির শুনানির কোনো তাৎক্ষণিক আপডেট নেই।
- শীতকালীন ছুটি: আদালতের আসন্ন শীতকালীন বা ক্রিসমাস ছুটির আগে এই মামলার শুনানির আর কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
- সম্ভাব্য তারিখ: আইনি বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, যদিও আইনি প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং ২০২৬ সালের আগে চূড়ান্ত ফয়সালার সম্ভাবনা কম, তবুও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই ইতিবাচক বৈঠক শিক্ষকদের মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। সাংসদ এবং ফেডারেশন নেতাদের তৎপরতায় কেন্দ্রীয় সরকার যদি কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা লক্ষ লক্ষ শিক্ষকের জন্য বড় স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।