Voter Card Address: ঠিকানায় ভুল বা বাড়ি বদল? ভোটার কার্ড ট্রান্সফার করুন বাড়িতে বসেই, জানুন ফর্ম ৮ জমার নিয়ম
Voter Card Address: নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করার পরেই সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ভোটার কার্ড সংশোধন বা স্থানান্তরের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অনেকেই কর্মসূত্রে বা বিয়ের কারণে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাসস্থান পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু ভোটার কার্ডে পুরনো ঠিকানাই রয়ে গেছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই, এখন আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বসেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে খুব সহজে ভোটার কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করা সম্ভব।
ভোটার কার্ড এক বিধানসভা থেকে অন্য বিধানসভায় বা একই বিধানসভার মধ্যে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াটি এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক নিয়ম জানা এবং নির্দিষ্ট কিছু নথি।
ঠিকানা পরিবর্তনের প্রাথমিক পদক্ষেপ
ভোটার কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল পোর্টাল voters.gov.in ব্যবহার করতে হবে। পোর্টালে লগ-ইন করার পর আপনাকে ‘ফর্ম ৮’ (Form 8) বেছে নিতে হবে। মনে রাখবেন, এই ফর্মটি ভোটার কার্ডের যাবতীয় সংশোধন এবং স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়। লগ-ইন করার সময় নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করুন এবং ‘Self’ অপশনটি নির্বাচন করুন। যদি আপনি পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের হয়ে আবেদন করেন, তবে ‘Other Elector’ অপশনটি বেছে নিয়ে তাদের এপিক (EPIC) নম্বর দিতে হবে।
শিফটিং বনাম কারেকশন: কোনটি আপনার জন্য?
আবেদন করার সময় অনেকেই বিভ্রান্ত হন যে তাঁরা ‘Correction of Entries’ নাকি ‘Shifting of Residence’ অপশনটি বাছবেন। এই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন- Shifting of Residence: আপনি যদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাকাপাকিভাবে চলে যান এবং আপনার নাম, বাবার নাম বা জন্মতারিখে কোনো ভুল না থাকে, তবে শুধুমাত্র ঠিকানা বদলানোর জন্য এই অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।
- Correction of Entries: বর্তমান ঠিকানায় থেকেই যদি কার্ডের কোনো তথ্য বা বানান ভুল থাকে, তবেই এই অপশনটি ব্যবহার করবেন। ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
বিবাহিত মহিলাদের জন্য বিশেষ পরামর্শ: বিয়ের পর ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথমে ‘Shifting of Residence’ অপশনটি ব্যবহার করে শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় ভোটার কার্ড স্থানান্তর করুন। কার্ড ট্রান্সফার হয়ে যাওয়ার পর, পদবী পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে পুনরায় ফর্ম ৮ পূরণ করে ‘Correction’ অপশনে গিয়ে নামের পরিবর্তন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও আপলোড প্রক্রিয়া
ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদনের সময় আপনাকে প্রমাণ হিসেবে নির্দিষ্ট কিছু নথি আপলোড করতে হবে। নথিপত্রগুলি জেপিজি (JPG) ফরম্যাটে এবং ২ এমবি (2MB) সাইজের মধ্যে হতে হবে। নিচে গ্রহণযোগ্য নথির একটি তালিকা দেওয়া হলো:
| নথির ধরন | উদাহরণ |
|---|---|
| পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণ | আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স |
| বিকল্প প্রমাণপত্র | পঞ্চায়েত রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট (নতুন ঠিকানায় অন্য কোনো নথি না থাকলে) |
| বিবাহিত মহিলাদের জন্য | ম্যারেজ সার্টিফিকেট এবং পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া শংসাপত্র (একত্রে স্ক্যান করা) |
ফর্ম সাবমিশন ও ভেরিফিকেশন
নতুন ঠিকানার বিবরণ, অর্থাৎ রাজ্য, জেলা এবং বিধানসভার নাম সঠিকভাবে নির্বাচন করার পর আপনার সম্পূর্ণ ঠিকানা ইংরেজিতে টাইপ করুন। সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটিকে বাংলায় রূপান্তর করবে। বানান ভুল থাকলে অন-স্ক্রিন কিবোর্ড ব্যবহার করে তা ঠিক করে নিন। সবশেষে, আধার ই-সাইন (Aadhaar e-Sign) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওটিপি ভেরিফাই করে আবেদনটি জমা দিন।
আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি রেফারেন্স নম্বর পাবেন, যা দিয়ে পরে স্ট্যাটাস চেক করা যাবে। সাধারণত বিএলও (BLO) আপনার বাড়িতে এসে ভেরিফিকেশন করতে পারেন অথবা আপনাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ স্থানীয় বিডিও বা পঞ্চায়েত অফিসে শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। সঠিক নথি থাকলে খুব দ্রুত আপনার ভোটার কার্ড নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়ে যাবে।