Arrear DA: ব্রেকিং! ২৫% ডিএ প্রদানে তৎপর নবান্ন, হিসাব হবে নতুন প্রযুক্তিতে, কর্মীরা নিজেরাই জানতে পারবেন প্রাপ্য

Arrear DA: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে প্রতীক্ষার অবসান আসন্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দ্রুত মিটিয়ে দিতে রাজ্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহারে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কর্মচারীরা একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে তাঁদের প্রাপ্য সম্পর্কে সরাসরি অবগত হতে পারবেন।
বিস্তারিত: নতুন প্রযুক্তি ও নবান্নের পদক্ষেপ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার প্রথম কিস্তির ২৫ শতাংশ দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নবান্ন প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বিপুল সংখ্যক কর্মচারীর নির্ভুল হিসাব ও দ্রুত অর্থপ্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবস্থাটি তৈরি করার দায়িত্ব একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। এই প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হল, প্রতিটি কর্মচারীর (চলতি ও অবসরপ্রাপ্ত) চাকরির সময়কাল এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের সঠিক বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা। এই প্রক্রিয়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (WBIFMS) পোর্টালের তথ্যভান্ডারকেও কাজে লাগানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মচারীরা নিজেরাই তাঁদের বকেয়া ডিএ কবে থেকে এবং কী পরিমাণে পেতে চলেছেন, সেই সম্পর্কিত তথ্য সরাসরি জানতে পারবেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনবে এবং কর্মীদের দুশ্চিন্তা কমাবে।
গুরুত্বপূর্ণ দিক ও ব্যবহারিক প্রভাব
- ২৫% ডিএ প্রদানে বিশেষ নজর: রাজ্য সরকার প্রথম ধাপে মোট বকেয়ার এক-চতুর্থাংশ প্রদানে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
- নির্ভুল হিসাব: নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে হিসাব সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা কমবে এবং প্রতিটি কর্মচারী তাঁর সঠিক প্রাপ্য বুঝে পাবেন।
- স্বচ্ছতা ও স্বনির্ভরতা: প্রস্তাবিত প্রযুক্তি কর্মচারীদের সরাসরি তাঁদের প্রাপ্য ও প্রদানের সময়কাল জানার সুযোগ করে দেবে, যা আগে সম্ভব ছিল না।
- বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্মাণে বেসরকারি সংস্থার অন্তর্ভুক্তি বিশেষ দক্ষতার প্রয়োগ নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
- দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়াস: প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমগ্র ডিএ প্রদান প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের এই সক্রিয়তা এবং প্রযুক্তি-নির্ভর স্বচ্ছ ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। নতুন প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ হলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা শুধু তাঁদের প্রাপ্য অর্থই পাবেন না, পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত থেকে সুফল লাভ করবেন। এখন অপেক্ষা, কবে এই নতুন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে কার্যকর হবে এবং কর্মীরা তাঁদের দীর্ঘদিনের প্রাপ্য হাতে পাবেন।