বড় খবর! সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি পেল চাকরিহারারা, তবে সকলে নয়

সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি ২০১৬ মামলার জাজমেন্টের মডিফিকেশন চেয়ে আবেদন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। সেই আবেদনের শুনানিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে অশিক্ষক শিক্ষাকর্মী দের জন্য আপাতত কোনো স্বস্তির খবর নেই।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) ২০১৬ সালের প্যানেলের প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত হল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম:
কিছু শিক্ষকের স্বস্তি: পর্ষদের তরফে আবেদন করা হয়েছিল যে সমস্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই, তাঁদের চাকরি বহাল রাখা হোক। সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং যে সমস্ত শিক্ষক ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ নন, তাঁদের স্কুলে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের অবস্থা অপরিবর্তিত: তবে, ২০১৬ সালের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে আদালতের পূর্ববর্তী বাতিলের নির্দেশই বহাল থাকছে।
নতুন নিয়োগের সময়সীমা: সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে ৩১শে মে, ২০২৫ এর মধ্যে একটি হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই হলফনামায় চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা এবং ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে।
প্রেক্ষাপট: দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩রা এপ্রিল, ২০২৫ এর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের সমগ্র স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) প্যানেলটি বাতিল হয়ে যায়, যার ফলে প্রায় ২৬,০০০ জনের চাকরি প্রভাবিত হয়। পর্ষদ এই বাতিলের ফলে পশ্চিমবঙ্গের ১৬,০০০-এর বেশি স্কুলে শিক্ষক ঘাটতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। এই শুনানি কিছু ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষককে আংশিক স্বস্তি দিয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার দ্রুত ও স্বচ্ছ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। রাজ্য সরকার ভবিষ্যৎ নিয়োগের পরিকল্পনা প্রস্তুত করার সাথে সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।