TET Mandatory: শিক্ষকদের TET পাশ বাধ্যতামূলক! এই রায়ে কোন রাজ্য কী পদক্ষেপ নিল?

TET Mandatory: সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক রায়ে ভারতের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এখন থেকে, ২০১০ সালের আগে নিযুক্ত শিক্ষকদের জন্যও টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা TET বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই রায় সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক বড়সড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা নিয়ে শিক্ষক মহলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগ।
বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিক্রিয়া
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিভিন্ন রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। কোন রাজ্য কী ভাবছে, তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
- তামিলনাড়ু: তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার মাধ্যমে এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হবে। তবে, মনে রাখা দরকার যে রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে মূল রায় পরিবর্তন করা ঐতিহাসিকভাবে বেশ কঠিন।
- মহারাষ্ট্র: যে রাজ্য থেকে এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল, সেই মহারাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। শোনা যাচ্ছে, তারাও রিভিউ পিটিশনের পথে হাঁটতে পারে, তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
- ওড়িশা: ওড়িশা সরকার অন্য রাজ্যগুলোর পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। যদি বেশিরভাগ রাজ্য এই রায় মেনে নেয়, তবে ওড়িশাও তা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু যদি তামিলনাড়ুর মতো কোনো রাজ্য রিভিউ পিটিশনের পথে হাঁটে, তবে ওড়িশা সেই পিটিশনের চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করবে।
- পশ্চিমবঙ্গ: পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আশা করা হচ্ছে, তামিলনাড়ুর রিভিউ পিটিশনের রায়ের পরই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে।
কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা
সমস্ত রাজ্যই কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তর এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE)-এর সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ, তাদের সিদ্ধান্তই সব রাজ্যের জন্য বাধ্যতামূলক হবে। এই পরিস্থিতিতে, সারা দেশের কয়েক লক্ষ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ পিটিশনের রায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর। এই রায় একদিকে যেমন শিক্ষার মান বাড়ানোর একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে পুরনো শিক্ষকদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনে এই পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।