মহার্ঘ ভাতা মামলার বড় খবর: রাজ্যের সাবমিশনের উত্তরে ২০ দফা যুক্তি জমা হল রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে

মহার্ঘ ভাতা মামলা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলা এক নতুন মোড় নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দাখিল করা তথ্যের পাল্টা জবাবে, কর্মচারী সংগঠনগুলি একটি ২০-দফা সম্বলিত নথি জমা দিয়েছে, যা এই মামলায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এই মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরব।
মামলার বর্তমান অবস্থা
সম্প্রতি, কর্মচারী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দেওয়া হয়েছে। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ-এর জমা দেওয়া নথিটি এখনও ই-ফাইলিং-এর ডেট পায়নি, তবে অন্য একটি নথি ১ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে আপলোড করা হয়েছে, যা অ্যাডভোকেট মৃগাঙ্ক প্রভাকরের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে। এই নথিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের বিরুদ্ধে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে, যা মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
২০-দফা নথির মূল বিষয়বস্তু
এই নথিতে মূলত রাজ্য সরকারের যুক্তি খণ্ডন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন আইন ও নিয়মাবলীর উল্লেখ করে দেখানো হয়েছে যে, রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার অধিকারী। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো:
- সংবিধানের ৩০৯ নং ধারা: এই ধারায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত নিয়মাবলী তৈরির কথা বলা হয়েছে। কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, রাজ্য সরকার এই নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
- ROPA রুলস, ২০০৯: এই নিয়মে বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা AICPI (All India Consumer Price Index) অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। সংগঠনগুলির মতে, রাজ্য সরকার এই নিয়ম মানছে না।
- আর্থিক সংকটের যুক্তি: রাজ্য সরকার আর্থিক সংকটের কথা বললেও, কর্মচারী সংগঠনগুলির মতে এটি ডিএ না দেওয়ার জন্য কোনো বৈধ কারণ হতে পারে না।
- অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ: কেরালা সহ অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে দেখানো হয়েছে যে, তারাও নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী ডিএ দিয়ে থাকে, এবং পশ্চিমবঙ্গেরও তা করা উচিত।
মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ
এই মামলার পরবর্তী অধ্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্ট উভয় পক্ষের লিখিত যুক্তি বিবেচনা করবে এবং তার ভিত্তিতে রায় দেবে। কর্মচারী সংগঠনগুলি আশা করছে যে, তাদের পেশ করা তথ্য ও যুক্তির ভিত্তিতে তারা এই মামলায় জয়ী হবে। তবে, রাজ্য সরকারও তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে, তাই চূড়ান্ত রায়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনএই মামলাটি শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র দেশের সরকারি কর্মীদের জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। তাই, এই মামলার রায়ের দিকে সকলের নজর থাকবে।