Mamata Banerjee: এসএসসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, নতুন নিয়োগ এবং বর্তমান কর্মীদের জন্য পদক্ষেপ

Mamata Banerjee: স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলার পাশাপাশি বর্তমানে কর্মরত যোগ্য শিক্ষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর। সাম্প্রতিক এক সাংবাদিক বৈঠকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে সরকারকে ৩১শে মের মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যদিও গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে তার শুনানি এখনও হয়নি। সরকার এই দুটি পথই খোলা রাখছে। যদি রিভিউ পিটিশনে রাজ্যের পক্ষে রায় আসে, তবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যথায়, আদালতের নির্দেশানুযায়ী ৩০শে মে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ১৬ই জুন থেকে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত অনলাইন আবেদন গ্রহণ করা হবে। প্যানেল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ১৫ই নভেম্বর এবং কাউন্সেলিং শুরু হবে ২০শে নভেম্বর থেকে।
সরকার জোর দিয়ে জানিয়েছে যে, কোনো যোগ্য কর্মীর চাকরি কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য তাদের নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২৪,২০৩টি শূন্যপদে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকার আরও অতিরিক্ত পদ তৈরি করেছে, যার মধ্যে নবম-দশম শ্রেণীর জন্য ১১,৫১৭টি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য ৬,৯১২টি, গ্রুপ সি-এর জন্য ৫৭১টি এবং গ্রুপ ডি-এর জন্য ১,০০০টি পদ রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৪৪,২০৩টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে।
যে সমস্ত বর্তমান কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে, তাদের জন্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়সের ছাড় দেওয়া হবে এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও, যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে তারা শিক্ষা দপ্তরের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদের পাশাপাশি আরও তিন-চারটি অন্য দপ্তরেও চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বিষয়ে পরবর্তীতে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন যাতে তাদের বক্তব্য বিকৃত না করা হয়, কারণ সমস্ত কিছুই সুপ্রিম কোর্টে উপস্থাপনের জন্য রেকর্ড করা হচ্ছে। সরকারের মূল লক্ষ্য হল মর্যাদার সাথে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা। তিনি শিক্ষক এবং গ্রুপ সি/ডি কর্মীদের নতুন প্রক্রিয়ায় আবেদন করার পাশাপাশি রিভিউ পিটিশনের রায়ের জন্য অপেক্ষা করারও আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তাদের চাকরি সুরক্ষিত থাকে।