শিক্ষা

College Admission: বারবার পেছাচ্ছে ভর্তির দিন, কবে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ? আসন ফাঁকা থাকার আশঙ্কা!

College Admission: রাজ্য সরকার আবারও স্নাতকে ভর্তির জন্য অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে, যা ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে এখনও বিচারাধীন থাকায়, উচ্চশিক্ষা দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন বহু পড়ুয়া স্বস্তি পেয়েছে, তেমনই শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা।

মূল পরিস্থিতি একনজরে:

  • বাড়ানো হলো সময়সীমা: স্নাতকে ভর্তির আবেদনের শেষ তারিখ ২৫ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি সোমবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য।
  • আবেদনকারীর সংখ্যা: শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার পড়ুয়া রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, গত ১০ দিনে নতুন আবেদনের সংখ্যা মাত্র ৮ হাজার, যা ভর্তি প্রক্রিয়ার ধীরগতিকে স্পষ্ট করে।
  • আসন বনাম আবেদনকারী: রাজ্যে স্নাতক স্তরে মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৯ লক্ষ ৪৮ হাজার, যার সাপেক্ষে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার পড়ুয়া। এই বিপুল ব্যবধানের ফলে বহু আসন ফাঁকা থাকার আশঙ্কা করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

কেন এই বিলম্ব?

উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের মতে, এই অচলাবস্থার প্রধান কারণ হলো ওবিসি সংরক্ষণ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেও, শুনানির দিন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রাজ্য সরকারও বাধ্য হচ্ছে ভর্তির সময়সীমা ক্রমাগত বাড়াতে। প্রথমে ১ থেকে ১৫ জুলাই, তারপর ২৫ জুলাই এবং এখন তা ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রাজ্যের তৎপরতা ও ভবিষ্যতের পথ

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে মামলাটি তালিকাভুক্ত হলেও, শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। এখন সকলের চোখ সোমবারের দিকে। এই শুনানির রায়ের ওপরই নির্ভর করছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ এবং নতুন শিক্ষাবর্ষের সূচনা। এই দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষাব্যবস্থায় যে প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষামহল।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button