DA Arrears Case: রাজ্যের মডিফিকেশন আবেদন কী কী লেখা আছে দেখুন, ঘুম উড়ে যাবে সরকারি কর্মীদের

DA Arrears Case: পশ্চিমবঙ্গ সরকার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মেটানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছে, যেখানে তারা ২৫% বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি তুলে ধরেছে। এই মামলাটি রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর রায় রাজ্যের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আসুন, রাজ্য সরকারের মূল যুক্তিগুলি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ডিএ বাধ্যতামূলক নয়
রাজ্য সরকারের প্রধান যুক্তি হল, মহার্ঘ ভাতা (DA) প্রদান করা নিয়োগকর্তার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, এটি কোনও বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। সরকার মনে করে যে ডিএ প্রদান করার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এবং এটিকে বাধ্যতামূলক হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
AICPI-এর সঙ্গে ডিএ সংযোগের বিরোধিতা
যদি সর্বভারতীয় গ্রাহক মূল্য সূচক (AICPI)-এর ভিত্তিতে ডিএ প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে এটি নিয়োগকর্তার বিবেচনা ক্ষমতাকে খর্ব করবে। রাজ্য সরকার মনে করে যে প্রতিটি রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই কেন্দ্রীয় স্তরের মূল্য সূচকের সঙ্গে ডিএ-কে যুক্ত করা ঠিক নয়।
পে কমিশনের সুপারিশ বাধ্যতামূলক নয়
রাজ্য সরকারের মতে, পে কমিশনের সুপারিশগুলি রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের উপর আইনত বাধ্যতামূলক নয়। সরকার তার আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে পারে, কিন্তু এটি করতে বাধ্য নয়।
কেন্দ্রের ডিএ হার অনুসরণ করার বাধ্যবাধকতা নেই
রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের মতো একই হারে ডিএ দিতে বাধ্য করা যায় না, কারণ এটি সংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর লঙ্ঘন করবে। রাজ্য তার নিজস্ব আর্থিক নীতি অনুযায়ী ডিএ নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখে।
আর্থিক বোঝা এবং কেন্দ্রের কাছে ঋণের আবেদন
রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে বিপুল সংখ্যক কর্মচারী এবং দীর্ঘ সময় ধরে বকেয়া থাকার কারণে (১ এপ্রিল, ২০০৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯) এই মুহূর্তে বকেয়া মেটানো একটি বিশাল আর্থিক বোঝা। এই বকেয়া মেটানোর জন্য রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঋণ নিতে হবে, যার জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন প্রয়োজন।
সময় প্রার্থনা এবং বিকল্প সুবিধা
এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় এবং ডিএ বিতরণের নীতি চূড়ান্ত করার জন্য রাজ্য সরকার কমপক্ষে ছয় মাস সময় চেয়েছে। সরকার আরও জানিয়েছে যে তারা রাজ্যের কর্মচারীদের জন্য এমন অনেক আর্থিক সুবিধা প্রদান করে যা অন্য রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার দেয় না।
সুপ্রিম কোর্টে ২৫% বকেয়া জমা দেওয়ার প্রস্তাব
রাজ্য সরকার প্রস্তাব দিয়েছে যে তারা বকেয়া ২৫% অর্থ সরাসরি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা রাখতে চায়। এর কারণ হল, যদি রাজ্য এই মামলায় জিতে যায়, তাহলে লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর কাছ থেকে টাকা পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদি রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়, তাহলে আদালত থেকেই কর্মচারীদের টাকা বিতরণ করা হবে।
এই মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন এবং এর রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারী।