DA Arrears: শুধু ডিএ নয়, ১০% সুদ সহ HRA-ও চাই! ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর দাবি বৈষম্য মানবে না

DA Arrears: ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদারের একটি ভিডিও বার্তায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং অন্যান্য ভাতা সংক্রান্ত দাবিগুলি আবারও সামনে এসেছে। এই ভিডিওতে তিনি স্পষ্ট করেছেন কেন এবং কীসের ভিত্তিতে সরকারী কর্মচারীরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং তাঁদের দাবিগুলি কী কী। আসুন, এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর মূল দাবিগুলি এবং তার পেছনের যুক্তিগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
বকেয়া এবং তার পরিমাণ
‘ইউনিটি ফোরাম’-এর মূল দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল দুটি ভিন্ন ROPA (Revision of Pay and Allowances) নিয়মের অধীনে বিপুল পরিমাণ বকেয়া মেটানো।
- ২৭ মাসের বকেয়া: ফোরামের দাবি অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ২০০৮ সালের ৩১শে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৭ মাসের বকেয়া তাঁদের দেওয়া হয়নি। ROPA 2009-এর অধীনে এই টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। দেবপ্রসাদ হালদার জোর দিয়ে বলেছেন যে, কোনও সাংবিধানিক সরকার এই টাকা বাজেয়াপ্ত করতে পারে না।
- ৪৮ মাসের বকেয়া: এর পাশাপাশি, ROPA 2019-এর অধীনে ২০১৬ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ২০১৯ সালের ৩১শে জানুয়ারী পর্যন্ত মোট ৪৮ মাসের বকেয়া মেটানোর দাবিও জানানো হয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের কাছে একটি বড় আর্থিক দাবি, যা তাঁদের ন্যায্য অধিকার।
সুদের দাবি এবং সম্পূর্ণ ভাতা
শুধু বকেয়া মেটানোই নয়, ‘ইউনিটি ফোরাম’ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি পেশ করেছে, যা কর্মচারীদের আর্থিক সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
- বার্ষিক ১০% সুদ: ফোরামের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সমস্ত বকেয়া টাকার উপর বার্ষিক ১০% হারে সুদ দিতে হবে। যেহেতু এই টাকা সময়মতো দেওয়া হয়নি, তাই তার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই সুদের দাবি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন তাঁরা।
- সম্পূর্ণ ভাতা: তাঁদের দাবি শুধু মূল বেতনের (Basic Pay) মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সাথে বাড়ি ভাড়া ভাতা (HRA), পরিবহন ভাতা (Transport Allowance), মহার্ঘ ভাতা (DA) এবং অন্যান্য সমস্ত ভাতা ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে টাকা পাওয়ার দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে মেটাতে হবে।
বৈষম্যের অভিযোগ
দেবপ্রসাদ হালদার তাঁর বক্তব্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন, যা হল বৈষম্য। তিনি বলেছেন যে, যদি ‘বঙ্গ ভবন’-এর কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারী হারে ভাতা পেতে পারেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা কেন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন? এই বৈষম্য দূর করার জন্য এবং সমস্ত কর্মচারীদের সমান অধিকার দেওয়ার জন্য ‘ইউনিটি ফোরাম’ আওয়াজ তুলেছে।
এই ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ‘ইউনিটি ফোরাম’ তাদের দাবিগুলি স্পষ্ট করেছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয় এবং কবে রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পান। এই লড়াইয়ে ‘ইউনিটি ফোরাম’ সমস্ত কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে।