DA Case Today: অবশেষে ডিএ মামলার সন্তোষজনক শুনানি হল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

DA Case Today: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলাটি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এতদিন পর আজ, ১৬ই মে, ২০২৫, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার সন্তোষজনক শুনানি হল, যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ এবং উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। আজকের শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে, একটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আশায়।
আজকের শুনানির বিবরণ (১৬ই মে, ২০২৫):
আজ, শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে মামলাটি ১৪ নম্বর কোর্টে ৬১ নম্বরে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত ছিল এবং এটি “টেকেন অ্যাট দ্য টপ অফ দ্য বোর্ড” অর্থাৎ তালিকার শুরুতেই থাকার কথা ছিল, যা দ্রুত শুনানির ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কোর্টরুমে-এ উভয় পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী এবং কর্মচারী সংগঠনগুলির পক্ষেও অভিজ্ঞ আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন।
আজ ১১ টা ১০ নাগাদ মামলাটি ওঠে। শুনানিতে মাননীয় বিচারপতিরা ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বললেন। অপরদিকে রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিষেক মনু সিংভি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলায় উপস্থিত ছিলেন এবং এর বিরোধিতা করেন। তাঁর প্রধান যুক্তি ছিল রাজ্যের উপর ভীষণ আর্থিক দায়ের চাপ। তবে বিচারপতিরা তার কথায় একমত হলেন না। এরপর অভিষেক মনু সিংভি ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রাজি হন।
শেষমেষ ২৫% ডিএ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার কথা বললেন বিচারপতিরা এবং আগামী আগস্ট মাসে এই মামলার শুনানি হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এই মহার্ঘ ভাতা বিতর্ক বহু পুরনো। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এবং বকেয়া ডিএ প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছে। এই প্রসঙ্গে মামলা কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। ২০২২ সালের মে মাসে, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় (স্পেশাল লিভ পিটিশন (সিভিল) নং ২২৬২৮-৩০/২০২২)। এরপর থেকে একাধিকবার তারিখ পড়লেও বিভিন্ন কারণে মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।
মূলত, পঞ্চম বেতন কমিশনের (রোপা ২০০৯) সুপারিশ অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১লা জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতেই এই মামলা চলছিল। রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করা হলেও, কর্মচারী সংগঠনগুলি তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে অনড়।