DA Case Update: ৫০% ডিএ আসলে এই বেতন কমিশনের নয়, মামলাটি বর্তমান ডিএ নিয়েই নয়, স্পষ্ট করলেন মলয়বাবু

DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) সংক্রান্ত মামলাটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহলে ব্যাপক আলোচনার বিষয়। সম্প্রতি কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ, পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে শ্রী মলয় মুখোপাধ্যায় একটি ভিডিওতে এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। এই প্রতিবেদনে আমরা সেই ভিডিওর মূল বিষয়বস্তু এবং ডিএ সংক্রান্ত আরও কিছু জরুরি তথ্য বিশদে আলোচনা করব।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে, এই মামলার নিষ্পত্তিতে যদি আরও দেরি হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এর জন্য মূল্য চোকাতে হতে পারে। তাঁর মতে, “আদালত এই কথাটা জানান দিতে চাইছে সরকারকে যে এর পরবর্তীকালে যদি মামলা পিছিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আপনাদেরকে ডিএ বাবদ অন্তত ৫০ শতাংশ টাকা কস্ট হিসেবে রাখতে হবে”। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মামলা দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে মামলাকারীদের কলকাতা যাতায়াত, থাকা এবং আইনজীবীদের খরচ বাবদ প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “এই যে ৫০ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে” তা আসলে সরকারকে একটি সতর্কবার্তা।
এই মামলাটি মূলত পঞ্চম বেতন কমিশনের রোপা ২০০৯ অনুযায়ী বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে করা হয়েছে। মলয়বাবুর কথায়, “মামলাটা পঞ্চম বেতন কমিশনের রোপা ২০০৯ অনুসারে সেখানে ১.৭.২০০৯ থেকে ১.১.২০১৯ পর্যন্ত যে মহার্ঘভাতার ব্যাকলক সেই ব্যাকলক সরকারকে দিতে হবে”।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক: একটি তুলনামূলক চিত্র
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত মহার্ঘ ভাতার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৫% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সম্প্রতি ৪% মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির পর এপ্রিল ২০২৫ থেকে ১৮% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন, যা আগে ১৪% ছিল। ফলে, উভয় শ্রেণীর কর্মচারীদের মধ্যে মহার্ঘ ভাতার ফারাক প্রায় ৩৭% থাকছে। এই ফারাক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষের অন্যতম কারণ।
উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর মূল বেতন ৩২,০০০ টাকা হয়, তাহলে ৫৫% হারে তাঁর মাসিক মহার্ঘ ভাতা হবে ১৭,৬০০ টাকা। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে ১৮% হারে মহার্ঘ ভাতা হবে ৫,৭৬০ টাকা। এই উদাহরণ থেকে মহার্ঘ ভাতার পরিমাণের পার্থক্য পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। তবে বর্তমান মামলাটি জিতলেও এই পার্থক্য মিটবেনা। বরং রোপা ২০০৯ এ চাকরিরত কর্মীরা এরিয়ার হিসাবে বকেয়া ডিএ পেতে পারেন। যার ৫০% এর কথা বিচারপতিরা বলেছেন।
শ্রী মলয় মুখোপাধ্যায় আশা প্রকাশ করেছেন যে, “আগামী শুক্রবার মামলা উঠবে কজ লিস্ট যেহেতু প্রকাশ পেয়ে গেছে সেটাতে নেই সাপ্লিমেন্টারি কজ লিস্টে থাকবে হয়তো আগামীকাল বেরিয়ে যাবে”। এই মামলার ভবিষ্যৎ পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।