DA Case Update: শুধু ডিএ নয়, এবার আদালত অবমাননার মামলার শুনানি! সুপ্রিম কোর্টের নতুন আপডেটে জল্পনা
DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলার মূল শুনানি শেষ হলেও, আসল রায় এখনও ঘোষণা করেনি সুপ্রিম কোর্ট। গত ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে, আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
মূল মামলার সর্বশেষ অবস্থা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চূড়ান্ত শুনানির পর রাজ্য সরকারকে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কর্মচারী সংগঠন অর্থাৎ মামলাকারী পক্ষকে তাদের লিখিত সাবমিশন জমা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষের লিখিত বক্তব্য পাওয়ার পরেই আদালত এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে। বর্তমানে, সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই মামলার স্ট্যাটাস “হিয়ার্ড এন্ড রিজার্ভ” দেখানো হচ্ছে, যার অর্থ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।
ঝুলে রইল আদালত অবমাননার মামলা
ডিএ মামলা চলাকালীন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনটি প্রধান কর্মচারী সংগঠন -ইউনিটি ফোরাম, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ, এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিএ বকেয়া পরিশোধ না করে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে যে, এই তিনটি আদালত অবমাননার মামলার স্ট্যাটাস এখনও “পেন্ডিং” বা বিচারাধীন রয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট যে, মূল ডিএ মামলার শুনানি শেষ হলেও, আদালত অবমাননার মামলাগুলির শুনানি এখনও বাকি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল মামলার রায় ঘোষণার পরেই এই বিচারাধীন মামলাগুলির শুনানি শুরু হতে পারে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনকর্মীদের আশা ও অপেক্ষা
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কলকাতা হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিলেও, রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। এখন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ কর্মচারী। একদিকে যেমন বকেয়া ডিএ পাওয়ার আশা রয়েছে, তেমনই আদালত অবমাননার মামলাগুলির নিষ্পত্তির মাধ্যমে রাজ্যের উপর চাপ বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা। সব মিলিয়ে, চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় দিন গুনছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।