ডিএ

DA Case Update: সুপ্রিম কোর্টে আবার ডিএ মামলার বিচারপতি পরিবর্তন হল, সিরিয়াল নং এবং সময় দেখে নিন

DA Case Update: ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। আগামী ৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে। এই শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং পেনশনভোগীরা। আজকের এই পোস্টে আমরা এই মামলার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

নতুন বেঞ্চ গঠন এবং তার তাৎপর্য

এই মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এই বেঞ্চে থাকলেও, বিচারপতি সন্দীপ মেহতার পরিবর্তে নতুন বিচারপতি হিসেবে এসেছেন প্রশান্ত কুমার মিশ্র। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র এর আগেও এই ডিএ মামলার দুটি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের সঙ্গে তিনি এই মামলার শুনানি করেছিলেন। তাই, এই মামলায় তাঁর অন্তর্ভুক্তি একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এই মামলার ক্রমিক সংখ্যা ১৩, যা শুনানির জন্য প্রথম দিকেই রয়েছে। এর সাথে আদালত অবমাননার মামলা এবং রাজ্যের বিবিধ বা পরিবর্তনীয় আবেদনের উপর ভিত্তি করে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মামলার প্রেক্ষাপট

দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (DA) পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। এরপর থেকেই মামলাটি শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে ২৫ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি অনবরত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, AICPI মেনে ডিএ তাদের ন্যায্য অধিকার এবং রাজ্য সরকার সেই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের বক্তব্য হলো, তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়।

আগামী শুনানির সম্ভাব্য ফলাফল

আগামী ৪ঠা আগস্টের শুনানিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই শুনানিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হতে পারে:

  • আদালত অবমাননার মামলা: রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশ পালন না করায় যে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছিল, তার শুনানি হতে পারে।
  • রাজ্যের আবেদন: রাজ্য সরকার যে মডিফিকেশন আবেদন করেছে, তার উপর আলোচনা হতে পারে।
  • সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে যে দাবিদাওয়া পেশ করা হয়েছে, তার উপরও শুনানি হতে পারে এবং মামলার সাথে যুক্ত হতে পারে।

এই শুনানির পরেই পরিষ্কার হবে যে, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা কবে থেকে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। তবে, বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের এই মামলায় পুনরায় অন্তর্ভুক্তি একটি ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছেন আন্দোলনকারীরা। যেহেতু তিনি এই মামলার সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত, তাই মামলার গভীরে গিয়ে তিনি সঠিক বিচার করবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। এই মামলার রায়ের উপর নির্ভর করছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর ভবিষ্যৎ। তাই, ৪ঠা আগস্টের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button