DA Case Update: একদম প্রথমেই হবে ডিএ মামলার শুনানি, চূড়ান্ত রায়ের সম্ভাবনা, বড় খবর সরকারি কর্মচারীদের

DA Case Update: বহুল প্রতীক্ষিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দিকে অনেকটা এগিয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই মামলাটি শুক্রবার, ১৬ই মে, ২০২৫ তারিখে মাননীয় বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারল এবং মাননীয় বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। কেসটি “টেকেন অ্যাট দ্য টপ অফ দ্য বোর্ড” হিসাবে উল্লেখ থাকায়, এটি তালিকার প্রথম দিকেই শুনানি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, যা দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে পারে।
মামলার প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি
“দ্য স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল বনাম কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ, ওয়েস্ট বেঙ্গল” (ডায়েরি নং – ৩৫২৯২/২০২২ এবং এসএলপি(সি) নং ০২২৬২৮ – ০২২৬৩০ / ২০২২) শিরোনামের এই মামলাটি রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায় রাজ্যের বিরুদ্ধে যাওয়ার পর, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
বিচারপতি পরিবর্তন, কোর্ট নম্বর, সিএল নম্বর
গত ১৪ই মে মামলাটি বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে শুনানি হওয়ার জন্য উঠেছিল। বিচারপতিরা অন্তত ৫০ শতাংশ মিডিয়া দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। তবে অর্ডার কপিতে এর উল্লেখ ছিল না। ১৬ই মে আবার বিচারপতি পরিবর্তন হলো। মামলাটি ১৪ নম্বর কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে উঠতে চলেছে। মামলাটি ৬১ নম্বরে ক্লজ লিস্টে উল্লেখিত হয়েছে।
পূর্ববর্তী বিভিন্ন তারিখে শুনানির দিন ধার্য হলেও, নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। তবে, এবারের তালিকাভুক্তি এবং “টেকেন অ্যাট দ্য টপ অফ দ্য বোর্ড” স্ট্যাটাস একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে। মামলার সিরিয়াল নম্বর (৬১) দেখে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ আদালত এই মামলাটিকে আর মুলতুবি না করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
কর্মীদের প্রত্যাশা ও সম্ভাব্য ফলাফল
এই মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করছে রাজ্যের লক্ষাধিক সরকারি কর্মীর আর্থিক ভবিষ্যৎ। যদি রায় কর্মীদের পক্ষে যায়, তাহলে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ সহ বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হতে পারে, যা রাজ্যের কোষাগারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে, রায় রাজ্যের পক্ষে গেলে কর্মীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে অথবা আইনি লড়াইয়ের নতুন মোড় নিতে পারে।
তবে, সব মিলিয়ে শুক্রবারের শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমেই ডিএ সংক্রান্ত বিতর্কের একটি কিনারা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সমস্ত পক্ষের নজর এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।