DA Case Update: আজ ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ! কী ঘটছে দেখুন

DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলা আজ আবারও সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন শীর্ষ আদালতের রায়ের দিকে। কবে মিটবে এই দীর্ঘদিনের বঞ্চনা? আসুন, এই মামলার সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতি এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মামলার মূল বিষয়বস্তু
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে এই মামলা দীর্ঘদিনের। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি একাধিকবার পিছিয়ে গিয়েছে, যা কর্মীদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ
সাম্প্রতিক শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী, গোপাল সুব্রহ্মণ্যম, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের মতো শহরে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিচ্ছে। দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ের ইউথ হোস্টেলে কর্মরত কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারেই মহার্ঘ ভাতা পান। এই তথ্য সামনে আসার পর আদালত রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
বিচারপতি মিশ্র প্রশ্ন করেন, “একই রাজ্যে কর্মরত কর্মীদের জন্য দুরকম ডিএ কি সম্ভব?” উত্তরে আইনজীবী জানান যে, এই নিয়ম বহু বছর ধরেই চলে আসছে। এমনকি ২০১৯ সালের রোপা (ROPA) নিয়মাবলী প্রকাশের পরেও, ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে বঙ্গভবনের কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা (HRA) দেওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
আদালত এই প্রসঙ্গে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে। পর্যবেক্ষণ করা হয় যে, রাজ্য সরকার পুরনো দিনের মহাজনদের মতো টাকা বাঁচিয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করছে বলে মনে হচ্ছে। এই মন্তব্য রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
কর্মীদের দাবি ও রাজ্যের যুক্তি
রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলির মূল দাবি হল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমান হারে ডিএ দিতে হবে। তাদের মতে, মূল্যবৃদ্ধির বাজারে জীবনধারণের জন্য এই মহার্ঘ ভাতা অত্যন্ত জরুরি। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের প্রধান যুক্তি হল, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই। কিন্তু দিল্লি ও চেন্নাইয়ে কর্মরত কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার তথ্য সামনে আসায় রাজ্যের এই যুক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সম্ভাবনা
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ এবং মামলাকারীদের জোরালো যুক্তির পর রাজ্য সরকারি কর্মীরা আশার আলো দেখছেন। যদিও মামলার চূড়ান্ত রায় এখনও আসেনি, তবে আদালতের মনোভাব কর্মীদের পক্ষেই রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার কবে তাদের কর্মীদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেয়। এই মামলার পরবর্তী আপডেটের জন্য আমাদের নজর থাকবে।