DA Case West Bengal: ডিএ মামলায় রাজ্যের জমা দেওয়া লিখিত তথ্যে কী কী লেখা আছে? দেখুন বিস্তারিত

DA Case West Bengal: পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা সংক্রান্ত তাদের লিখিত সাবমিশন জমা দিয়েছে। এই সাবমিশনটি মোট ১১২ পাতার, এবং এতে রাজ্য সরকার ডিএ সংক্রান্ত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, এই সাবমিশনের মূল বিষয়বস্তু কী এবং রাজ্য সরকার কী কী নতুন তথ্য জমা দিয়েছে।
রাজ্য সরকারের মূল যুক্তি
রাজ্য সরকার তাদের সাবমিশনে মূলত কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে:
- রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয়: রাজ্যের বক্তব্য অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয়। এই বিষয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়কে উদ্ধৃত করেছে।
- মূল্যস্ফীতির সমন্বয়: ১০০ শতাংশ মূল্যস্ফীতিকে নিউট্রালাইজ করার বিষয়েও রাজ্য তাদের বক্তব্য রেখেছে।
- ট্রাইবুনাল ও হাইকোর্টের রায়ের ব্যাখ্যা: রাজ্য সরকার বলেছে যে, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা কলকাতা হাইকোর্ট কেউই রাজ্যকে সরাসরি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি।
- অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ: রাজ্য সরকার একটি তালিকা জমা দিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেয় না। তাদের যুক্তি, যদি সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়, তাহলে সেই রাজ্যগুলির উপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সাবমিশনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:
- রোপা রুলস (ROPA Rules): রোপা রুলস অনুযায়ী ডিএ ক্যালকুলেশন এবং পে ফিক্সেশন-এর মতো বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে।
- বিভিন্ন রাজ্যের ডিএ হারের তুলনা: একটি তুলনামূলক চার্ট দেওয়া হয়েছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যগুলির ডিএ হারের তুলনা করা হয়েছে।
- আইনি যুক্তি: রাজ্যের আইনজীবীরা বিভিন্ন সংগঠনের আইনজীবীদের বক্তব্যের পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
রাজ্য সরকারের এই লিখিত সাবমিশনের পর, মামলাকারী সংগঠনগুলি তাদের পাল্টা লিখিত সাবমিশন জমা দেবে, যার জন্য তারা এক সপ্তাহ সময় পাবে। সংগ্রামী যৌথমঞ্চ ইতিমধ্যেই তাদের সাবমিশন জমা দিয়েছে। সমস্ত পক্ষের সাবমিশন জমা পড়ার পরেই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনএই লিখিত সাবমিশন ডিএ মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয়, মামলাকারী সংগঠনগুলি এর জবাবে কী বলে এবং শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়। পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এই রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছেন।