Big DA Update: আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ২০২৫-২৬ সালের রাজ্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন। এই বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটিই শেষ পূর্ণ বাজেট, তাই জনপ্রিয় পদক্ষেপের প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।
৬% ডিএ বৃদ্ধির প্রস্তাব
রাজ্য সরকার কর্মচারীদের জন্য ৬% ডিএ বৃদ্ধি বিবেচনা করছে বলে খবর। এর ফলে বর্তমান মহার্ঘ ভাতা ১৪% থেকে বেড়ে ২০% হতে পারে। যদিও এই বৃদ্ধি বাজেট অধিবেশনে ঘোষণার দুই বছরের প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে আধিকারিকরা মনে করেছেন যে এটি রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ৫৩% ডিএ-র সাথে ব্যবধান কিছুটা কমানো।
বকেয়া ভাতা এবং কর্মচারীদের দাবি
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ ফোরামের নেতৃত্বে কর্মচারী সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন থেকে বকেয়া ডিএ পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি উপেক্ষা করা হলে তাঁরা আন্দোলনেও নেমেছেন। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র সাথে সমতা চেয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
নীতি আয়োগের ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স ২০২৫ অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থান ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৬তম। রাজ্যের রাজস্ব সংগ্রহ এবং ঋণের উচ্চ হারকে এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে রাজ্য সরকার ৪% ডিএ বৃদ্ধির জন্য ২,৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এবার ৬% বৃদ্ধি আর্থিক চাপ আরও বাড়াতে পারে।
রাজনৈতিক প্রভাব
২০২৬ সালের নির্বাচনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সরকার কর্মচারীদের অভিযোগগুলি মোকাবিলায় চাপের মুখে রয়েছে। ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভান্ডার এর মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতেও বরাদ্দ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
সপ্তম বেতন কমিশনের গুঞ্জন
সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের গুঞ্জন উঠেছে, যা বেতন সংশোধনের পথ প্রশস্ত করতে পারে। শেষ বেতন কমিশন ২০১৫ সালে গঠিত হয়েছিল, এবং কর্মচারীরা যুক্তি দিয়েছেন যে এক দশকের ব্যবধানে এই পদক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত।
সাম্প্রতিক ডিএ ঘোষণার সময়রেখা
- ডিসেম্বর ২০২৩: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ৪% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন, যা ১০% থেকে বেড়ে ১৪% হয়েছিল।
- এপ্রিল ২০২৪: ৪% বৃদ্ধি ১ মে এর পরিবর্তে ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছিল।
কর্মচারীদের প্রতিক্রিয়া
বাজেট নিয়ে আশাবাদী থাকলেও, অতীতের বিলম্বের কারণে সংশয়ও রয়েছে। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্রের বক্তব্য, “রাজ্য সরকার নিজেরাই স্বীকার করেছে, ডিএ না দিয়ে সেই অর্থ উন্নয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে।” কর্মচারীরা রাজনৈতিক আশ্বাসের বদলে বাস্তব পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।