Dearness Allowance: ‘ডিএ মেরে দিয়ে দীপাবলির শুভেচ্ছা’ মোটেই খুশি নন সরকারি কর্মচারীমহল ও প্রতিবাদী শিক্ষকরা
দীপাবলির শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে মোটেই খুশি নন সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক মহল। ভূত চতুর্দশীতে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে দুর্নীতির ভূত তাড়ানোর কর্মসূচি গ্রহণ।
![Diwali Wishes from Mamata Banerjee](/wp-content/smush-webp/2023/11/Diwali-Wishes-from-Mamata-Banerjee-780x470.jpg.webp)
Dearness Allowance: দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানাতে একটা নয় পাঁচটি ভাষাতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনরত শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারী মহল এই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে মোটেই খুশি নন। তারা মনে করছেন এটা শুভেচ্ছা বার্তা নয় এটা আমাদের ঠাট্টা করা হয়েছে। ‘সরকার DA মেরে দিয়ে দীপাবলির শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছে’ মন্তব্য আন্দোলনরত এক শিক্ষকের।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) দাবিতে ২৯০ দিন ধরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা মহল শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছেন। তাদের মতে দাবি না মিটিয়ে এই শুকনো শুভেচ্ছা বার্তা তাদের কাছে অর্থহীন।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ” প্রতিবার কালীপুজোয় শুধু বাংলায় শুভেচ্ছা পেতাম। এবার পঞ্চব্যঞ্জন এর মত বাংলা, ইংরেজি, ওড়িয়া, সাঁওতালি, হিন্দিতে শুভেচ্ছা বার্তা অভিনব। হোয়াটস্যাপ এ শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা যেখানে ৪৬ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পান সেখানে আমরা পাই ৬ শতাংশ। এটা তো কোন উৎসাহ ভাতা নয়। এটা আমাদের বেতনের একটা অংশ। বৈষম্য দূর না করে এই শুভেচ্ছা বার্তা অর্থহীন।”
বিষয়টি নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষক কিংকর অধিকারী বলেন, “এখনো পর্যন্ত চারটি ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা পেলাম মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। সমস্ত শিক্ষক কর্মচারীগণও পেয়েছেন। এর জন্য যদি সরকারের অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে তাহলে তা বিরাট অপচয় ছাড়া কিছু নয়। এর চেয়ে সমস্ত বঞ্চনার অবসানে মনোযোগী হোক সরকার।”
ভূত চতুর্দশীর দিন তারা শিক্ষার দুর্নীতির ভূত তাড়াতে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে মঞ্চে বসে ছিলেন। অনিরুদ্ধ বাবু আরো জানান, ” হবু যোগ্য শিক্ষকেরা বছরের পর বছর রাস্তায় বসে রয়েছেন। আমরা যারা যোগ্য তারা ডিএ পাচ্ছিনা। শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশই অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। রাজ্য থেকে দুর্নীতির ভূত তাড়ানোর জন্য ১৪ টি প্রদীপ চালানোর কর্মসূচি নিয়েছিলাম।”