Gold Price 2026: ২০২৬ সালে ১০ গ্রাম সোনার দাম কত হবে? গোল্ডম্যান শ্যাক্সের রিপোর্ট শুনলে চমকে যাবেন!
Gold Price 2026: সোনা বরাবরই ভারতীয়দের কাছে বিনিয়োগের অন্যতম নিরাপদ এবং পছন্দের মাধ্যম। সাম্প্রতিক সময়ে সোনার দামের উর্ধ্বমুখী গ্রাফ বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বখ্যাত ব্রোকারেজ সংস্থা গোল্ডম্যান শ্যাক্স (Goldman Sachs) সোনার ভবিষ্যৎ দাম নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের এই নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দিনে সোনার দাম এমন এক উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে যা সাধারণের কল্পনারও বাইরে।
গোল্ডম্যান শ্যাক্সের ভবিষ্যদ্বাণী: ২০২৬ সালে সোনার দাম
গোল্ডম্যান শ্যাক্সের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনার বাজারের এই তেজি ভাব আগামী বছরেও বজায় থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রোকারেজ সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্স ৪,৯০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় এবং পরিমাপ অনুযায়ী, এর অর্থ হলো প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ১,৫৫,০০০ টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে।
২০২৫ সালটি সোনা বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে। এই বছরে এখনও পর্যন্ত সোনা প্রায় ৭৩% রিটার্ন দিয়েছে, যা এক কথায় নজিরবিহীন। এই বিশাল প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গোল্ডম্যান শ্যাক্সের এই নতুন টার্গেট প্রাইস বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
কেন বাড়বে সোনার দাম?
গোল্ডম্যান শ্যাক্স তাদের রিপোর্টে সোনার দাম বাড়ার পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করেছে:
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন- কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সোনা ক্রয়: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি আগামী বছরও বিপুল পরিমাণে সোনা কেনা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চাহিদা দাম বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
- সুদের হার হ্রাস: মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বা ফেডারেল রিজার্ভ (Federal Reserve) কর্তৃক সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সুদের হার কমলে সাধারণত ডলারের মান কমে এবং সোনার দাম বাড়ে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক সংকেত।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও পরিসংখ্যান
আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বাজারে সোনার দাম ইতিমধ্যেই রেকর্ড স্তরে রয়েছে। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের দাম ১.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর স্পট গোল্ডের দাম ০.৪% বেড়ে প্রতি আউন্স ৪,৩৪৭.০৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের বাজারেও এর প্রভাব স্পষ্ট। মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বা MCX-এ সোনার ফিউচার প্রাইস প্রতি ১০ গ্রামে রেকর্ড ১,৩৫,৫৯০ টাকায় পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে সোনার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। গত দুই বছরে সোনার দাম প্রায় ১৩৯% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত কয়েক দশকের মধ্যে দ্রুততম উত্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
| বিবরণ | তথ্য/মূল্য |
|---|---|
| বর্তমান রিটার্ন (২০২৫) | প্রায় ৭৩% |
| বর্তমান MCX সর্বোচ্চ দাম | ১,৩৫,৫৯০ টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম) |
| ২০২৬ সালের টার্গেট প্রাইস | ১,৫৫,০০০ টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম) |
বিনিয়োগকারীদের কী করা উচিত?
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কী করবেন, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
- পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ: দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য পোর্টফোলিওতে সোনা রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোট বিনিয়োগের অন্তত ১০% সোনাতে রাখা উচিত।
- বিনিয়োগ বৃদ্ধি: যদি আপনার পোর্টফোলিওতে সোনার পরিমাণ ১০ শতাংশের কম হয়, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
- গোল্ড ইটিএফ (Gold ETF): ভৌত সোনা বা গয়না কেনার বদলে ‘গোল্ড ইটিএফ’ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এটি পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করার পাশাপাশি সোনা চুরি বা নিরাপত্তার উদ্বেগ দূর করে।
বিঃদ্রঃ এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত। শেয়ার বাজার বা সোনাতে বিনিয়োগ বাজারগত ঝুঁকির আওতাধীন। বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করুন।