HS Exam Update: উচ্চ মাধ্যমিকে লুজ শিট ‘বাতিল’, উত্তরপত্রে আমূল বদল আনল সংসদ! জানুন ২০২৬-এর নির্দেশিকা
HS Exam Update: পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) ২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে। পরীক্ষার হলে আর শোনা যাবে না “স্যার, লুজ শিট দিন” এই চেনা বাক্যটি। দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে উত্তরপত্রের কাঠামোতে বড়সড় রদবদল আনতে চলেছে সংসদ। মূলত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং প্রশাসনিক জটিলতা কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই নতুন নিয়মটি কার্যকর হবে ২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টার থেকে। এতদিন পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজনে একাধিক অতিরিক্ত পাতা বা সাপ্লিমেন্টারি শিট নিতে পারতেন, কিন্তু আগামীতে সেই সুযোগ আর থাকছে না। বদলে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে আরও বেশি পৃষ্ঠার একটি সুসংহত উত্তরপত্র বা বুকলেট।
উত্তরপত্রে কী কী পরিবর্তন আসছে?
সংসদ সূত্রে খবর, ২০২৬ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষার্থীদের যে মূল খাতা দেওয়া হবে, তার পৃষ্ঠা সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বাড়ানো হচ্ছে।
- আগের নিয়ম: এর আগে পরীক্ষার্থীদের শুরুতে ৮ পাতার (অর্থাৎ ১৬ পৃষ্ঠার) একটি খাতা দেওয়া হতো। তাতে স্থান সংকুলান না হলে অতিরিক্ত লুজ শিট নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।
- নতুন নিয়ম: এবার থেকে শুরুতেই পরীক্ষার্থীদের ১২ পাতার (অর্থাৎ ২৪ পৃষ্ঠার) একটি মোটা উত্তরপত্র দেওয়া হবে।
- সীমাবদ্ধতা: পরীক্ষার্থীদের এই নির্দিষ্ট ২৪ পৃষ্ঠার মধ্যেই তাঁদের সমস্ত উত্তর শেষ করতে হবে। বাইরে থেকে কোনো অতিরিক্ত কাগজ সরবরাহ করা হবে না।
সংসদের যুক্তি অনুযায়ী, যেহেতু লিখিত পরীক্ষা ৩৫ বা ৪০ নম্বরের হবে, তাই এই ২৪ পৃষ্ঠা উত্তর লেখার জন্য যথেষ্ট।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনকেন লুজ শিট বন্ধ করা হলো?
শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে খাতা মূল্যায়নের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। অনেক সময় দেখা যায়, তাড়াহুড়োয় অতিরিক্ত পাতাগুলি মূল খাতার সঙ্গে ঠিকমতো সেলাই করা হয় না বা সুতো ছিঁড়ে আলাদা হয়ে যায়। এর ফলে পরীক্ষকের কাছে সব পাতা পৌঁছায় না এবং পড়ুয়ারা তাদের প্রাপ্য নম্বর থেকে বঞ্চিত হয়। এই ‘মিসিং পেজ’-এর সমস্যা চিরতরে মেটাতে এবং সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
পরীক্ষার নম্বর ও খাতার পৃষ্ঠার বিন্যাস
| বিভাগ | বিবরণ |
|---|---|
| প্রাকটিক্যাল বিষয় | লিখিত পরীক্ষা ৩৫ নম্বরের |
| নন-প্রাকটিক্যাল বিষয় | লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরের |
| বরাদ্দ উত্তরপত্র | ১২ পাতা বা ২৪ পৃষ্ঠা (ফিক্সড) |
পুরোনো পরীক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম
তবে এই নিয়ম সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। ২০২৬ সালে সেমিস্টার পদ্ধতির পাশাপাশি পুরোনো সিলেবাস বা পদ্ধতির পরীক্ষাও চলবে। যারা পুরোনো পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে, তাদের ক্ষেত্রে এই ‘নো লুজ শিট’ নিয়ম কার্যকর হবে না। তারা আগের মতোই প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাতা নিতে পারবে বলে সংসদ স্পষ্ট করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষায় এই নতুন পদ্ধতি প্রথম প্রয়োগ করা হবে।