Income Tax Notice: এই বড় আর্থিক লেনদেনগুলি করছেন? আয়কর দফতরের নোটিশ আপনার দরজায় কড়া নাড়তে পারে!

Income Tax Notice: বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সমস্ত আর্থিক লেনদেনই বিভিন্ন সরকারি সংস্থার নজরদারিতে থাকে। বিশেষ করে, আয়কর দফতর (Income Tax Department) বড় অঙ্কের লেনদেনের উপর কড়া নজর রাখে। অনেকেই জানেন না যে নির্দিষ্ট সীমার বাইরে কিছু লেনদেন করলে আয়কর দফতরের তরফ থেকে নোটিশ আসতে পারে। আপনি যদি আপনার আয়কর রিটার্নে (ITR) এই লেনদেনগুলির উল্লেখ না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে বড়সড় সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
আয়কর দফতরের নজরে থাকা বড় লেনদেনগুলি
আয়কর আইন অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক, মিউচুয়াল ফান্ড হাউস, ব্রোকার প্ল্যাটফর্ম বা রেজিস্ট্রারের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে একটি অর্থবর্ষে হওয়া বড় অঙ্কের লেনদেন সম্পর্কে সরকারকে জানাতে হয়। একে বলা হয় আর্থিক লেনদেনের বিবৃতি বা Statement of Financial Transactions (SFT)। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন লেনদেনের উপর আয়কর দফতরের বিশেষ নজর থাকে।
১. সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা
যদি কোনও ব্যক্তি একটি অর্থবর্ষে তাঁর একটি বা একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্টে মোট ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করেন, তবে ব্যাঙ্ক সেই তথ্য আয়কর দফতরকে জানাতে বাধ্য। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫০ লক্ষ টাকা। তাই আপনার অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকা জমা করার আগে তার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হন এবং প্রয়োজনীয় নথি হাতের কাছে রাখুন।
২. ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট
ডিজিটাল লেনদেনের যুগে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। কিন্তু এখানেও একটি সীমা রয়েছে। যদি আপনি একটি অর্থবর্ষে ক্রেডিট কার্ডের বিল হিসেবে মোট ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি পরিশোধ করেন, তাহলে সেই তথ্যও আয়কর দফতরের কাছে পৌঁছে যায়। নগদে ১ লক্ষ টাকার বেশি বিল মেটালেও তা রিপোর্ট করা হয়। তাই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা উচিত।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন৩. শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ
অনেকেই শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার বা বন্ডে টাকা বিনিয়োগ করেন। যদি কোনও অর্থবর্ষে আপনার এই ধরনের বিনিয়োগের পরিমাণ মোট ১০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়, তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই তথ্য আয়কর দফতরকে জানায়। তাই বিনিয়োগ করার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।
৪. স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়
জমি, বাড়ি বা অন্য কোনও স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রেও আয়কর দফতরের কড়া নজর থাকে। যদি কোনও সম্পত্তির মূল্য বা স্ট্যাম্প ডিউটি ৩০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হয়, তাহলে সেই সম্পত্তির রেজিস্টার এই লেনদেনের তথ্য আয়কর দফতরকে জানান। সম্পত্তির বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েরই প্যান কার্ডের বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
নোটিশ এড়াতে কী করবেন?
আয়কর দফতরের নোটিশ এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল স্বচ্ছতা বজায় রাখা। আপনার সমস্ত বড় অঙ্কের লেনদেনের হিসেব রাখুন এবং আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় সেগুলির সঠিক উল্লেখ করুন। আপনার বার্ষিক তথ্য বিবরণী বা Annual Information Statement (AIS) এবং ফর্ম 26AS নিয়মিত পরীক্ষা করুন। যদি এই দুই বিবরণে এমন কোনও লেনদেনের উল্লেখ থাকে যা আপনার অজানা, তবে দ্রুত তার নিষ্পত্তি করুন। সঠিক সময়ে এবং নির্ভুলভাবে ITR ফাইল করলে আপনি অপ্রয়োজনীয় আইনি ঝামেলা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।