National News

India-China border: ভারত ও চীন সীমান্ত বিরোধ! স্থায়ী সমাধানের পথে অগ্রগতি

India-China border: ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা, যা কয়েক দশক ধরে অমীমাংসিত, সম্প্রতি একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে এগোচ্ছে। যদিও পাকিস্তান সীমান্তের মতো ভারত ও চীনের মধ্যে কোনো স্থায়ীভাবে চিহ্নিত সীমানা নেই, সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা একটি নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা এই দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সাম্প্রতিক অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের মূল ঔপনিবেশিক যুগে এবং ১৯১৪ সালের ম্যাকমোহন লাইনের মধ্যে নিহিত। এই বিরোধের ফলে ১৯৬২ সালে একটি যুদ্ধ হয়েছিল, যেখানে চীন পূর্ব লাদাখের কিছু অংশ দখল করে নেয়। সীমান্তটি তিনটি সেক্টরে বিভক্ত: পশ্চিম (লাদাখ/আকসাই চীন), মধ্য (হিমাচল প্রদেশ/উত্তরাখণ্ড), এবং পূর্ব (সিকিম/অরুণাচল প্রদেশ)। বর্তমানে, প্রকৃত সীমান্তটি লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) নামে পরিচিত।

সাম্প্রতিক অগ্রগতি

২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার ঘটনার পর, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে উচ্চ-পর্যায়ের কূটনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর নয়াদিল্লি সফর এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তার বৈঠকের পর, দুই দেশ সীমান্তের “ডেলিমিনেশন” বা সীমানা নির্ধারণের জন্য বিশেষ গ্রুপ গঠন করতে সম্মত হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ এটি একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে প্রথম ধাপ।

সীমানা নির্ধারণের দুটি প্রধান পর্যায় রয়েছে:

  • ডেলিমিনেশন: মানচিত্রে সীমানা আঁকা এবং স্থানাঙ্ক বিষয়ে একমত হওয়া।
  • ডিমার্কেশন: ডেলিমিনেশনের পরে, সীমান্তে পিলার এবং মার্কার দিয়ে স্থায়ী সীমানা চিহ্নিত করা।

এছাড়াও, চীন সারের মতো কিছু পণ্যের উপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান ব্যবস্থা

যদিও স্বাধীনতার পর থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক সীমান্ত চুক্তি হয়নি, সীমান্ত পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • বিশেষ প্রতিনিধি ব্যবস্থা (২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত)।
  • রাজনৈতিক প্যারামিটার এবং পথনির্দেশক নীতির উপর চুক্তি (২০০৫)।
  • পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজম (২০১২)।
  • স্থানীয় স্তরের সামরিক চ্যানেল, হটলাইন এবং আস্থা-নির্মাণ ব্যবস্থা।

চ্যালেঞ্জ

একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • ঐতিহাসিক দাবির ভিন্নতা: উভয় দেশের কাছে পরস্পরবিরোধী ঐতিহাসিক মানচিত্র রয়েছে।
  • কৌশলগত ছাড়: আকসাই চীনের মতো বিতর্কিত এলাকায় কে ছাড় দেবে, তা নির্ধারণ করা কঠিন।
  • কোনো একক আইনি নিষ্পত্তি নয়: পূর্ববর্তী চুক্তিগুলো ছিল পথনির্দেশক, নির্দিষ্ট স্থানাঙ্ক নয়।
  • কঠিন ভূখণ্ড: সীমান্তটি হিমবাহ, মালভূমি এবং পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে যায়, যা শারীরিক সীমানা নির্ধারণকে ধীর এবং ব্যয়বহুল করে তোলে।
  • দেশীয় রাজনীতি: যেকোনো আঞ্চলিক ছাড় উভয় সরকারের জন্য রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

এই সমস্যার দুটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে:

  • মিনিমালিস্ট সংস্করণ: সেক্টর-ভিত্তিক চুক্তি, টহল প্রোটোকল এবং আস্থা-নির্মাণ ব্যবস্থার উপর ফোকাস করা, যা রাজনৈতিকভাবে আরও গ্রহণযোগ্য এবং দ্রুত।
  • ম্যাক্সিমালিস্ট সংস্করণ: সম্পূর্ণ সীমানা নির্ধারণ, যা একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং এর জন্য অনেক সময় লাগবে।

যদিও সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতিবাচক, তবে চীনের উদ্দেশ্য পরিবর্তন হতে পারে বলে সতর্ক থাকা জরুরি। একটি স্থায়ী সমাধান দুই দেশের জন্যই উপকারী হবে এবং এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।

WBPAY

The site wbpay.in is a collaborative platform voluntarily monitored by a dedicated group of reporters of West Bengal. The site features insightful posts and articles authored by experts in various fields, ensuring high-quality content that informs and engages the community. With a focus on transparency and public service, wbpay.in aims to provide valuable resources and updated news relevant to the citizens and employees of West Bengal. For any query please mail us at [email protected]

Related Articles

Back to top button