ITR Exemption: আয়কর রিটার্ন ফাইলের আর ঝঞ্ঝাট নেই! আয়কর রিটার্ন থেকে ছাড় পেতে পূরণ করুন এই একটি ফর্ম

ITR Exemption: ভারত সরকার প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধার্থে আয়কর আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নির্দিষ্ট কিছু নাগরিককে আর আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করতে হবে না। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো প্রবীণদের আয়কর সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজ করা এবং তাদের উপর থেকে বোঝা কমানো। আসুন, এই নতুন নিয়ম এবং এর সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কারা এই ছাড়ের যোগ্য?
কেন্দ্রীয় সরকার প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়মে স্বস্তি দিয়েছে। তবে এই সুবিধা সকলেই পাবেন না। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলেই তবেই ৭৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকরা এই ছাড়ের আওতায় আসবেন। শর্তগুলো হলো:
- বয়স: নাগরিকের বয়স ৭৫ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- আয়ের উৎস: আয় শুধুমাত্র পেনশন এবং সুদ থেকে হতে হবে।
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট: পেনশন এবং সুদের আয় একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আসতে হবে। অর্থাৎ, যে ব্যাঙ্কে পেনশন আসে, সেই ব্যাঙ্কেই যদি স্থায়ী আমানত (Fixed Deposit) বা অন্য কোনো সঞ্চয় থাকে এবং সেখান থেকে সুদ অর্জিত হয়, তবেই এই ছাড় পাওয়া যাবে।
কখন এই ছাড় পাওয়া যাবে না?
কিছু ক্ষেত্রে ৭৫ বছরের বেশি বয়সী হওয়া সত্ত্বেও এই ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে না। সেগুলি হলো:
- যদি পেনশন এবং সুদের আয় ভিন্ন ভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে আসে।
- যদি পেনশন এবং সুদ ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে আয় থাকে, যেমন – বাড়ি ভাড়া, মূলধনী লাভ (capital gains), ব্যবসা বা অন্য কোনো পেশাগত আয়।
- যদি আয়ের উৎস একাধিক ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকে।
প্রক্রিয়াটি কীভাবে কাজ করবে?
যেসব প্রবীণ নাগরিক এই ছাড়ের জন্য যোগ্য, তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরিবর্তে একটি সহজ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
- ফর্ম 12BBA জমা: যোগ্য প্রবীণ নাগরিকদের তাদের ব্যাঙ্কে গিয়ে ফর্ম 12BBA পূরণ করে জমা দিতে হবে। এই ফর্মে তাদের পেনশন এবং সুদ থেকে হওয়া আয়ের সমস্ত বিবরণ থাকবে।
- ব্যাঙ্কের দায়িত্ব: ফর্মটি পাওয়ার পর, ব্যাঙ্ক গ্রাহকের মোট আয় গণনা করবে। এরপর আয়কর আইনের ধারা 80C থেকে 80U পর্যন্ত সমস্ত প্রযোজ্য ছাড় (deductions) এবং রিবেট (rebate) বিবেচনা করে মোট করযোগ্য আয় নির্ধারণ করবে।
- ট্যাক্স কর্তন: ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় ট্যাক্স (TDS) কেটে সরকারের কাছে জমা দেবে। একবার ব্যাঙ্ক এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করলে, সেই প্রবীণ নাগরিককে আর আলাদাভাবে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে না।
এই পদক্ষেপের কারণ কী?
সরকারের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রবীণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করা। অনেক প্রবীণ নাগরিকের জন্য অনলাইন আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তাদের প্রায়ই ট্যাক্স কনসালট্যান্ট বা অন্য কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়। এই নতুন নিয়মের ফলে, যাদের আয় শুধুমাত্র পেনশন এবং সুদ থেকে হয়, তাদের আর এই ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না। ব্যাঙ্কই তাদের হয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যা তাদের জন্য একটি বড় স্বস্তি। এই ছাড়টি প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি সরকারের সম্মান এবং তাদের জীবনকে আরও সহজ করার একটি প্রচেষ্টা।