Lower Berth Ticket: ট্রেনে লোয়ার বার্থ বা জানলার ধারের সিট চাই? জেনে নিন IRCTC-র এই ৪টি গোপন কৌশল!
Lower Berth Ticket: ট্রেনে যাতায়াত করতে প্রায় সকলেই ভালোবাসেন, বিশেষত যদি যাত্রাটি দীর্ঘ দূরত্বের হয়। আর এই যাত্রায় যদি জানলার ধারের সিট বা আরামদায়ক লোয়ার বার্থ পাওয়া যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু সমস্যা হলো, বিমানের মতো ট্রেনে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সিট বেছে নেওয়ার সরাসরি কোনো উপায় নেই। টিকিট বুকিং করার সময় পছন্দের (Preference) জায়গায় লোয়ার (Lower), মিডিল (Middle) বা আপার (Upper) বার্থ বেছে নেওয়ার অপশন থাকলেও, চূড়ান্ত টিকিট পাওয়ার পর দেখা যায় হয়তো বরাদ্দ হয়েছে আপার বার্থ। তবে কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বন করলে আপনার পছন্দের সিট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
ভারতীয় রেলের সিট বণ্টনের প্রক্রিয়াটি একটি স্বয়ংক্রিয় অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পুরো ট্রেনের কামরাগুলিতে যাত্রীদের সমানভাবে বন্টন করে ভারসাম্য বজায় রাখা। তাই নির্দিষ্ট সিট পাওয়া ভাগ্যের উপর নির্ভর করলেও, কিছু উপায় জেনে রাখলে সুবিধা হতে পারে।
কৌশল ১: একাধিক টিকিট বুকিং
এই পদ্ধতিটি কিছুটা খরচসাপেক্ষ এবং অদ্ভুত মনে হলেও, জরুরি পরিস্থিতিতে বেশ কার্যকর হতে পারে। যদি আপনার লোয়ার বার্থ বা জানলার ধারের সিট অত্যন্ত প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি একজন যাত্রীর জন্যই একই নামে এবং বিবরণে তিন থেকে চারটি টিকিট বুক করতে পারেন।
- পদ্ধতি: বুকিং করার সময় প্যাসেঞ্জারের বিবরণে একই নাম ও বয়স দিয়ে তিনটি বা চারটি সিটের জন্য আবেদন করুন। প্রেফারেন্স দেওয়ার সময় একটিতে লোয়ার, একটিতে সাইড লোয়ার, একটিতে মিডিল ইত্যাদি বিভিন্ন কম্বিনেশন দিন।
- ফলাফল: সাধারণত, একাধিক টিকিট বুক করলে তার মধ্যে অন্তত একটি লোয়ার বার্থ বা জানলার ধারের সিট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার পছন্দের সিটটি পেয়ে গেলে বাকি টিকিটগুলি বাতিল করে দিন।
- মনে রাখবেন: এই পদ্ধতিতে টিকিট বাতিল করার জন্য আপনাকে ক্যান্সেলেশন চার্জ দিতে হবে। স্লিপার বা এসি কোচের জন্য এই চার্জ ভিন্ন হয়। তাই এই পদ্ধতিটি শুধুমাত্র একান্ত প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করা উচিত।
কৌশল ২: সিনিয়র সিটিজেন কোটার ব্যবহার
যদি আপনার পরিবারে কোনো প্রবীণ নাগরিক থাকেন, তবে তাদের জন্য লোয়ার বার্থ পাওয়ার একটি নিশ্চিত উপায় হলো সিনিয়র সিটিজেন কোটা ব্যবহার করা।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন- যোগ্যতা: পুরুষদের ক্ষেত্রে বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছর বা তার বেশি হলে এই কোটার সুবিধা পাওয়া যায়।
- পদ্ধতি: টিকিট বুক করার সময় ‘General’ কোটার পরিবর্তে ‘Lower Berth/Sr. Citizen’ কোটা নির্বাচন করতে হবে।
- সুবিধা: এই কোটায় টিকিট বুক করলে লোয়ার বার্থ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত থাকে, যদি সেই কোটায় সিট উপলব্ধ থাকে।
কৌশল ৩: রিজার্ভেশন চয়েস অপশন
IRCTC পোর্টালে একটি বিশেষ অপশন রয়েছে যা আপনাকে লোয়ার বার্থ পেতে সাহায্য করতে পারে। টিকিট বুক করার সময় ‘Other Preferences’ সেকশনে এই অপশনটি পাওয়া যায়।
- অপশন: এখানে “Book only if at least one lower berth is allotted” বিকল্পটি বেছে নিন।
- কার্যকারিতা: এই অপশনটি সিলেক্ট করলে, সিস্টেম শুধুমাত্র তখনই আপনার টিকিট কনফার্ম করবে যদি অন্তত একটি লোয়ার বার্থ উপলব্ধ থাকে। যদি কোনো লোয়ার বার্থ খালি না থাকে, তাহলে টিকিটটি বুকই হবে না এবং আপনার টাকা ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে ফেরত চলে আসবে।
কৌশল ৪: বেশি সিট উপলব্ধ থাকা ট্রেনে বুকিং
এটি একটি সাধারণ পর্যবেক্ষণ। যে সমস্ত ট্রেনে অনেক বেশি সিট (Availability) খালি থাকে, সেই ট্রেনগুলিতে টিকিট বুক করলে পছন্দের সিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর কারণ হলো, রেলের অ্যালগরিদম তখন যাত্রীদের পছন্দকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারে, কারণ সিট বণ্টনের জন্য তার কাছে অনেক বিকল্প খোলা থাকে। তাই যাত্রার পরিকল্পনা করার সময় কোন ট্রেনে কতগুলি সিট খালি আছে, তা দেখে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।