Calcutta High Court: পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় রদবদল! এবার ৩২ হাজার শিক্ষকের মামলা কার দায়িত্বে?

Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে মামলার রোস্টার বদল হয়েছে। বিভিন্ন বেঞ্চে মামলার দায়িত্বে থাকা বিচারপতিদের দায়িত্বে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে এখন থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এই পরিবর্তন আজ অর্থাৎ ২২শে জুলাই, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
শিক্ষার মামলার দায়িত্বে নতুন বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রোস্টার পরিবর্তন অনুযায়ী, শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা (গ্রুপ টু) এখন থেকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এই ধরণের মামলা শোনার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা এই পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
একইসাথে, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এখন থেকে গ্রুপ এইট-এর মামলা শুনবেন। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের নতুন এসএসসি নিয়ম এবং দ্বিতীয় এসএলএসটি রায় সংক্রান্ত মামলা।
একক বেঞ্চেও পরিবর্তন
শুধু ডিভিশন বেঞ্চেই নয়, একক বেঞ্চেও শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
- মাদ্রাসা, প্রাথমিক, পার্শ্বশিক্ষক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা এখন থেকে শুনবেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
- বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এখন থেকে শুধুমাত্র মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা শুনবেন।
৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা
কলকাতা হাইকোর্টের সবচেয়ে আলোচিত মামলাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা। এই মামলার দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি চলবে। প্রধান বিচারপতি এর আগেই এই মামলার দায়িত্ব বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীকে দিয়েছিলেন।
এই মামলার শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আশা করা হচ্ছে যে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার শুনানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ভিডিওতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্য সব রোস্টার পরিবর্তন হলেও, এই নির্দিষ্ট মামলার বেঞ্চ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই, যদি না কোনো গুরুতর অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে বা বিচারপতি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান।
এই রোস্টার পরিবর্তন কলকাতা হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়ায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। এখন দেখার বিষয়, এই পরিবর্তনের ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে কতটা গতি আসে এবং বিচারপ্রার্থীরা কতটা উপকৃত হন।