Manoj Pant: রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে মনোজ পন্থের মেয়াদ বৃদ্ধি, রইল নেপথ্যের কারণ

Manoj Pant: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদে বহাল থাকছেন মনোজ পন্থ। সোমবার তাঁর অবসর গ্রহণের কথা থাকলেও, রাজ্য সরকার তাঁর কার্যকালের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের অনুমোদনের পর, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় যে, মনোজ পন্থ এই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।
কেন এই মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত?
নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি এই ব্যবস্থায় কোনও বড় পরিবর্তন আনতে চান না। মনোজ পন্থকে মুখ্যমন্ত্রীর একজন বিশ্বাসভাজন ও আস্থাভাজন আধিকারিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর কার্যকালে তিনি একাধিক সঙ্কটজনক পরিস্থিতি সফলভাবে সামলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আর.জি. কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা পরবর্তী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শিক্ষকদের আন্দোলন এবং মুর্শিদাবাদের দাঙ্গার মতো ঘটনা। এই সমস্ত পরিস্থিতিতে তাঁর ভূমিকা প্রশাসনিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
মনোজ পন্থ: এক দক্ষ ও স্বল্পভাষী আমলা
১৯৯১ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার তাঁর দক্ষতা এবং স্বল্পভাষী স্বভাবের জন্য পরিচিত। পূর্ববর্তী মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনে কেন্দ্র সাড়া না দেওয়ায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকেই এই পদের জন্য বেছে নেন। স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর সাথে মিলে তিনি অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে সফলভাবে আলোচনা চালান এবং অচলাবস্থার অবসান ঘটান।
এক বর্ণময় কর্মজীবন
- ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
- এর আগে তিনি মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
- ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত, প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
- ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বব্যাংকে সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রভাত মিশ্র, বিবেক কুমার এবং নন্দিনী চক্রবর্তীর মতো অভিজ্ঞ আমলারা মুখ্যসচিব পদের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও, পাঁচজন সিনিয়র অফিসারকে টপকে মনোজ পন্থকে এই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, যা তাঁর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাকেই তুলে ধরে। তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি রাজ্যের প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং উন্নয়নমূলক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।