Nabanna Abhiyan: আজ নবান্ন অভিযান, হুমকি, ভয় সত্ত্বেও পিছু হটতে নারাজ আন্দোলনকারীরা!

Nabanna Abhiyan: আজ, ২৮শে জুলাই, সোমবার, চাকরিপ্রার্থী এবং বিভিন্ন সংগঠনের ডাকা বহুচর্চিত নবান্ন অভিযান। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে হাওড়া ও কলকাতার পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। মিছিল শুরুর আগেই আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে এবং ভয় দেখিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করেছে। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিযান পূর্ববর্তী পুলিশি তৎপরতা
রবিবার রাত থেকেই আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করতে থাকেন যে, পুলিশ তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হাইকোর্টের একটি আদেশের কপি দেখাচ্ছে। অভিযোগ, বিশেষ করে যারা আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন, তাঁদেরকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় যেন তাঁরা আজকের অভিযানে অংশ না নেন। আন্দোলনকারীদের মতে, এটি তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং ভয় দেখিয়ে প্রতিবাদ দমন করার একটি প্রচেষ্টা।
প্রতিবাদে অনড় আন্দোলনকারীরা
পুলিশি বাধা ও হুমকির অভিযোগ সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা তাঁদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে সম্পূর্ণ অনড়। তাঁরা জানিয়েছেন, আজ দুপুর ১২টায় হাওড়া স্টেশনে জমায়েত হয়েই তাঁরা নবান্নের দিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে এগিয়ে যাবেন। তাঁদের বিশ্বাস, কোনো ভয় বা চাপ তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ের পথ থেকে সরাতে পারবে না।
আদালতের নির্দেশ ঘিরে ধোঁয়াশা
এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে হাইকোর্টের একটি নির্দেশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশ যে আদেশের কথা বলছে, তাতে সরাসরি নবান্ন অভিযানের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাঁদের মতে, মিছিল করা একটি সাংবিধানিক অধিকার এবং এর জন্য পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তাঁরা এই নির্দেশকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
প্রশাসনের অবস্থান
অন্যদিকে, হাওড়া সিটি পুলিশ আগেই জানিয়েছিল যে, এই সমাবেশের জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। একটি ব্যস্ত কর্মদিবসে সাধারণ মানুষের অসুবিধা এবং আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। পুলিশ স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, আজ কোনো বেআইনি জমায়েত করার চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সব মিলিয়ে, আজকের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে এক চরম সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের অধিকারের লড়াই, অন্যদিকে প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রচেষ্টা— এই টানাপোড়েনে দিনের শেষে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই এখন সকলের নজর।