OBC Case Update: কলকাতা হাইকোর্টে OBC মামলার শুনানি, কী হল আজকের শুনানিতে জেনে নিন এক নজরে

OBC Case Update: কলকাতা হাইকোর্টে OBC সংরক্ষণ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের অনুরোধে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ই জুলাই ধার্য করেছে। এই মামলা এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলি এখন একসাথে শোনা হবে।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই মামলার সূত্রপাত হয় যখন একজন আইনজীবী ওবিসি ভর্তি সংক্রান্ত একটি বিচারাধীন মামলার উল্লেখ করেন। এই মামলায়, একটি একক বেঞ্চ পূর্ববর্তী ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ভিত্তিতে ৭% ওবিসি সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরোধিতা করে, কারণ তাদের মতে, ওবিসি সংক্রান্ত মূল রায়টি ছিল ‘prospective’, অর্থাৎ ভবিষ্যতের জন্য প্রযোজ্য। এর অর্থ হল, পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তি এবং বর্তমানে কর্মরতদের উপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু নতুন একক বেঞ্চের রায়ে এই বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি।
শুনানিতে যা ঘটল
- দ্রুত শুনানির আবেদন: ৭% ওবিসি সংরক্ষণের পক্ষে থাকা আইনজীবীরা মামলার দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেন, কারণ ভর্তি প্রক্রিয়া এক বছর ধরে আটকে আছে।
- শুনানির তারিখ পরিবর্তন: প্রাথমিকভাবে, আদালত সমস্ত সম্পর্কিত মামলার শুনানির জন্য ১৪ই জুলাই দিনটি ধার্য করেছিল। কিন্তু রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান যে ১৪ এবং ১৫ই জুলাই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের এসএলপি (Special Leave Petition) উল্লেখ করা হতে পারে। তাই, রাজ্যের অনুরোধে হাইকোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি ১৬ই জুলাই, দুপুর ২টোয় পিছিয়ে দেয়।
- SSC নিয়োগে নতুন কোনো নির্দেশ নয়: আজকের শুনানিতে এসএসসি নিয়োগ বা রাজ্যে নতুন ভর্তির বিষয়ে কোনো নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৬৬টি বিভাগের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যকে দেওয়া পূর্ববর্তী আদেশই আপাতত বহাল থাকছে, যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্ট নতুন কোনো নির্দেশ দেয়।
ওয়েবসাইটে বড় পরিবর্তন
পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের ওয়েবসাইটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এখন থেকে নতুন ওবিসি আবেদনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র “OBC” শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে, “OBC A” বা “OBC B” এর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকছে না। এছাড়াও, ওবিসি বিভাগ নির্বাচনের তালিকায় শুধুমাত্র ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত বৈধ বিভাগগুলিই দেখানো হচ্ছে। এর থেকে বোঝা যায় যে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায় সাময়িকভাবে কার্যকর করতে শুরু করেছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
যদি সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনো নতুন নির্দেশ না দেয়, তবে রাজ্যকে হাইকোর্টের রায় মেনেই ভর্তি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে হবে। আগামী দিনে এই মামলার দিকে সকলের নজর থাকবে, কারণ এর উপরেই রাজ্যের বহু চাকরিপ্রার্থী এবং ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।