OBC Reservation West Bengal: ওবিসি সংরক্ষণে বিরাট বদল! কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তোলপাড় রাজ্য

OBC Reservation West Bengal: কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ে পশ্চিমবঙ্গের ওবিসি সংরক্ষণ নীতিতে এক বিরাট পরিবর্তন এসেছে। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন যে এখন থেকে রাজ্যে শুধুমাত্র ২০০৯ সালের ওবিসি তালিকা অনুযায়ী সংরক্ষণ প্রযোজ্য হবে। এই রায়ের ফলে রাজ্যের চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো, যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ঠিক কী জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট?
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায় অনুযায়ী, এখন থেকে রাজ্যে ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০০৯ সালের নিয়মই মানা হবে। ওই নিয়ম অনুসারে, ৬৬টি সম্প্রদায় ৭% সংরক্ষণের আওতায় ছিল। এর মানে হলো, পরবর্তীকালে যে নতুন ওবিসি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি বিভাগে মোট ১৪০টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তা আপাতত কার্যকর থাকছে না। এই রায় রাজ্যের সমস্ত সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
রায়ের তাৎক্ষণিক প্রভাব
এই রায়ের সবচেয়ে বড় এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। নতুন ওবিসি তালিকা অনুযায়ী এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও, হাইকোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ২০০৯ সালের ৬৬টি সম্প্রদায়ের তালিকা অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
শুধু জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাই নয়, এই রায়ের প্রভাব পড়বে রাজ্যের সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। যেমন – স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) এবং বিভিন্ন কলেজের ভর্তির ক্ষেত্রেও এখন থেকে পুরনো নিয়মই মানা হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সমস্ত ক্ষেত্রে ৭% সংরক্ষণের এই নিয়ম কঠোরভাবে পালন করা হয়।
ভবিষ্যতের পথ
এই মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন এবং সোমবার এই বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ই পশ্চিমবঙ্গের ওবিসি সংরক্ষণের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণ করবে। তবে, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় যে রাজ্যের সংরক্ষণ নীতিতে একটি বড়সড় পরিবর্তন এনেছে, তা অনস্বীকার্য। এর ফলে অনেক ছাত্রছাত্রী এবং চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নতুন করে নির্ধারিত হবে। এখন সকলের নজর সুপ্রিম কোর্টের দিকে, যেখানে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।