Para-teacher Salary Hike: প্যারাটিচারদের বেতন কি সত্যিই ৩৫-৪০ হাজার হচ্ছে? সাথে নতুন নামকরণের সম্ভাবনা

Para-teacher Salary Hike: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাজার হাজার প্যারাটিচারদের জন্য এক নতুন আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার শীঘ্রই প্যারাটিচারদের জন্য একগুচ্ছ নতুন সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো বেতন কাঠামোয় বড়সড় পরিবর্তন এবং পদের নতুন নামকরণ। যদিও এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি, তবে এই সম্ভাবনাকে ঘিরে শিক্ষক মহলে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। আসুন, এই সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পদের নতুন নামকরণ হতে পারে
সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা হলো “প্যারাটিচার” পদের নতুন নামকরণ। প্রস্তাবিত নাম হলো “অতিরিক্ত সহকারী শিক্ষক” (Additional Assistant Teacher)। এই নাম পরিবর্তনের পিছনে একটি কৌশলগত কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী, নতুন করে “প্যারাটিচার” পদে নিয়োগে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই, এই নতুন নামকরণের মাধ্যমে রাজ্য সরকার সম্প্রতি চাকরি হারানো ২৬,০০০ শিক্ষক ও কর্মীদের পুনরায় নিয়োগের একটি বিকল্প পথ খোলা রাখতে চাইছে বলে জল্পনা চলছে।
বেতন কাঠামোয় বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা
সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রস্তাবটি হলো প্যারাটিচারদের বেতন কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন। শোনা যাচ্ছে, বেতন প্রায় তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বাস্তবায়িত হলে এটি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে।
- প্রাইমারি প্যারাটিচার: তাঁদের সম্ভাব্য বেতন বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৩৫,০০০ টাকা।
- আপার প্রাইমারি প্যারাটিচার: তাঁদের বেতন বেড়ে হতে পারে ৪০,০০০ টাকা।
এই প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো সহকারী শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতনের প্রায় সমতুল্য, যা প্যারাটিচারদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথে এক বড় পদক্ষেপ হতে পারে।
অন্যান্য কী কী সুবিধা আসতে পারে?
বেতন বৃদ্ধি এবং নতুন নামকরণের পাশাপাশি আরও একাধিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে খবর।
- চাইল্ড কেয়ার লিভ (CCL): মহিলা প্যারাটিচারদের জন্য ৭৩০ দিনের চাইল্ড কেয়ার লিভের ব্যবস্থা চালু হতে পারে।
- স্কুল স্টাফ কাউন্সিলিং: প্রতিটি স্কুলের স্টাফ কাউন্সিলে অন্তত একজন প্যারাটিচার সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
- পরীক্ষার পরিদর্শকের দায়িত্ব: মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্যারাটিচারদের পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
- বদলি ব্যবস্থা: জেনারেল এবং মিউচুয়াল ট্রান্সফারের বহুপ্রতিক্ষিত দাবিটিও পূরণ হতে পারে।
- সার্ভিস রুল ও সার্ভিস বুক: প্যারাটিচারদের জন্য একটি পৃথক সার্ভিস রুল এবং সার্ভিস বুক তৈরির সম্ভাবনাও উজ্জ্বল, যা তাঁদের কর্মজীবনে স্থায়িত্ব আনবে।
ভবিষ্যৎ কী?
এই সমস্ত প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে নির্ভর করছে সরকারি সিদ্ধান্তের উপর। বিশেষ করে, ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের মামলাটির পুনর্বিবেচনা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় পুরো বিষয়টি আরও জটিল। তবে যদি এই প্রস্তাবগুলি সত্যি হয়, তবে এটি রাজ্যের প্যারাটিচারদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদাকে এক নতুন স্তরে উন্নীত করবে এবং তাঁদের কর্মজীবনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।