DA Contempt Notice: ডিএ না দিলে আদালত অবমাননার নোটিশের প্রস্তুতিতে কর্মচারী পরিষদ

DA Contempt Notice: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন এবার নতুন মোড় নিতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হতে চলেছে, কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের এই পদক্ষেপের ফলে ডিএ মামলা এক নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সময়সীমা শেষের পথে, অনড় কর্মচারী পরিষদ
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময়সীমা আগামী ২৬শে জুন শেষ হতে চলেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কর্মচারী পরিষদের তরফ থেকে শ্রী দেবশীষ শীল জানিয়েছেন যে, যদি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে রাজ্য সরকার তাদের প্রাপ্য ডিএ না মেটায়, তাহলে তারা এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।
কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২৬শে জুনের মধ্যে যদি ডিএ না মেটানো হয়, তাহলে ২৭শে জুন রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং অর্থসচিবকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হবে। এই নোটিশের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য। যদি সেই সময়ের মধ্যেও কোনো উত্তর না আসে, তাহলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করা হবে।
আইনি পদক্ষেপ ও পরবর্তী শুনানি
দেবশীষ বাবু আরও জানিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ঠা আগস্ট নির্ধারিত থাকলেও, আদালত অবমাননার বিষয়টি তার আগেই উত্থাপন করা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট ১৪ই জুলাই খোলার পরেই এই মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য তোলার চেষ্টা করা হবে। কর্মচারী পরিষদ কোনোভাবেই তাদের অধিকার থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, ডিএ যে কর্মচারীদের একটি আইনি অধিকার, তা সুনিশ্চিত করা এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করা।
এই আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে কর্মচারী পরিষদ শুধু তাদের বকেয়া আদায় করতে চাইছে না, বরং তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করতে চাইছে, যাতে সরকারি কর্মচারীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। তাদের এই কঠোর মনোভাব রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। একদিকে যখন রাজ্য সরকার আর্থিক সংকটের কথা বলছে, তখন অন্যদিকে কর্মচারীরা তাদের আইনি অধিকার ছাড়তে নারাজ। কর্মচারী পরিষদের এই আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি রাজ্য এবং কর্মচারীদের মধ্যেকার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এই নোটিশের জবাবে কী পদক্ষেপ নেয় এবং সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কী রায় দেয়। সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।