শিক্ষা

Primary Recruitment: প্রাথমিক নিয়োগে অ্যাকাডেমিক স্কোরে বৈষম্য! গ্যাজেট পরিবর্তনের দাবিতে নতুন মামলা, চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?

Primary Recruitment: ২০২৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই একটি নতুন আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে নিয়োগের নিয়মে অ্যাকাডেমিক স্কোরের বৈষম্য তুলে ধরা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এখনও ২০১৬ সালের পুরানো গ্যাজেট অনুসরণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, যার ফলে পুরনো সিলেবাসের (Old Syllabus) চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

মূল অভিযোগ কী?

জানা যাচ্ছে, মূল সমস্যাটি হল অ্যাকাডেমিক স্কোরের বিভাজন নিয়ে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে অ্যাকাডেমিক স্কোর গণনা করা হয়, তাতে নতুন সিলেবাসের প্রার্থীরা অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে, পুরনো সিলেবাসে পড়াশোনা করা প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশ কম হওয়ায় তারা প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছেন। এই বৈষম্য দূর করার জন্যই মূলত এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, এটি একটি ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।

মামলাকারীদের প্রধান দাবিগুলি

এই আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীরা কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি পেশ করেছেন। তাদের প্রধান দাবিগুলি হলো:

  • TET-এর ওয়েটেজ বৃদ্ধি: অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টেট (TET) পরীক্ষার নম্বরের গুরুত্ব বা ওয়েটেজ বাড়াতে হবে।
  • অ্যাকাডেমিক স্কোরে নরমালাইজেশন: অ্যাকাডেমিক স্কোরে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করার জন্য একটি “নরমালাইজেশন” (Normalization) প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। এর মাধ্যমে পুরনো ও নতুন উভয় সিলেবাসের প্রার্থীদের একই মাপকাঠিতে বিচার করা সম্ভব হবে।
  • গ্যাজেট পরিবর্তন: নিয়োগের ভিত্তি যে ২০১৬ সালের গ্যাজেট, সেটিকে পরিবর্তন করে একটি সময়োপযোগী এবং ন্যায্য নিয়মাবলী তৈরি করতে হবে।

মামলাকারীরা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, সম্প্রতি স্পেশাল এডুকেশন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের স্টাফ নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রেও গ্যাজেট পরিবর্তন করে নরমালাইজেশন প্রক্রিয়া আনা হয়েছে। সুতরাং, প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও এটি সম্ভব।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

মামলার বর্তমান পরিস্থিতি

এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন মামলা যা ২০২৫ সালের নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এর আগেও মামলা হয়েছিল এবং তার ভিত্তিতে মৈত্র কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু সেই কমিটির কাজ বর্তমানে থমকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মামলাকারীরা জানিয়েছেন যে, যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হতে পারে, তাই তারা মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য চেষ্টা করছেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করা নয়, বরং গ্যাজেট সংশোধন করে একটি স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করা। তারা রাজ্যের সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পুরনো সিলেবাসের প্রার্থীদের এই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সম্মিলিতভাবে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button