Primary Teacher Recruitment: প্রাথমিকে আরও অনেক প্রার্থী চাকরি পেতে চলেছেন, আদালতের নির্দেশ

Primary Teacher Recruitment: কলকাতা হাইকোর্টে একটি নতুন মামলা, WPA/79/2025, হাওড়া জেলার ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। এই মামলাটি উৎপল পাত্র এবং অন্যান্য মামলাকারীরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করেছেন। মামলাকারীদের দাবি, তারা ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ২০১০ সালে লিখিত পরীক্ষা ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা নিয়োগ পাননি।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই মামলার মূল বিষয় হল মামলাকারীদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে কিনা, কারণ তারা আদালতের নির্ধারিত কাট-অফ তারিখের আগে তাদের প্রাথমিক রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। মামলাকারীরা, যারা ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট একটি “ডি নোভো” বা নতুন করে লিখিত পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। এই পরীক্ষায় মামলাকারীরা উত্তীর্ণও হয়েছিলেন।
- কাট-অফ তারিখের গুরুত্ব: বিচারপতি রাজেশ ভরদ্বাজের বেঞ্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিল যে, যে সমস্ত মামলাকারীরা ৩১শে মার্চ, ২০২৪-এর মধ্যে তাদের রিট পিটিশন দাখিল করেছেন, শুধুমাত্র তাদেরই ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য বিবেচনা করা হবে।
- মামলাকারীদের যুক্তি: এই মামলার মামলাকারীরা তাদের প্রাথমিক রিট পিটিশন (WPA/2609/2023) ২০২৩ সালেই দায়ের করেছিলেন, যা নির্ধারিত কাট-অফ তারিখের অনেক আগে। তাদের যুক্তি হল, যেহেতু তারা সময়সীমার মধ্যে তাদের আবেদন জমা দিয়েছিলেন, তাই তাদেরও নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা উচিত। বিশেষত যখন অন্যান্য মামলাকারীরা, যারা এই তারিখের আগে আবেদন করেছিলেন, তারা ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন।
আদালতের নির্দেশ এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
আদালত হাওড়া ডিপিএসসি-র (জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় কাউন্সিল) আইনজীবী রতুল বিশ্বাসকে এই বিষয়ে নির্দেশ আনতে বলেছে যে, কীভাবে এই মামলাকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যেহেতু মামলাকারীদের প্রাথমিক আবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করা হয়েছিল, তাই আশা করা হচ্ছে যে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড তাদের চাকরি দিতে বাধ্য থাকবে।
- আশার আলো: এই মামলাটি তিনজন মামলাকারীকে নিয়ে, এবং আশা করা হচ্ছে যে তারা এই রায়ের ফলে নিয়োগপত্র পাবেন।
- পরবর্তী শুনানি: এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ই আগস্ট, ২০২৫-এ ধার্য করা হয়েছে।
এই মামলাটি হাওড়া জেলার সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে তাদের নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। আদালতের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, পরবর্তী শুনানিতে আদালত কী রায় দেয় এবং এই মামলাকারীদের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয়।