Primary Teacher Recruitment: বড় খবর! ১১৬৭৫ শিক্ষক নিয়োগে রইল না বাধা, দেখুন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের বড় নির্দেশ, ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আর কোনো বাধা রইল না।

Primary Teacher Recruitment: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সুখবর, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিল, চলতি ১১৬৭৫ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোনও বাধা নেই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২২-এ (Primary Teacher Recruitment 2022) অংশগ্রহণকারী চাকরি প্রার্থীদের জন্য বড় খবর। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই। রাজ্য সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে।
২০২২ সালে, প্রাথমিকে ১১৬৭৫ টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় D.El.Ed প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের নিয়ে। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য D.El.Ed পাস করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ২০১৪ টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয় বাধ্যতামূলক ছিল না। পরে আদালতের নির্দেশে জটিলতা দেখা দেয়।
এদিকে, বোর্ডের প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে যারা D.El.Ed এর জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ডের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের সমন্বয়ে তৎকালীন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে হলে প্রশিক্ষণ শেষ করতে হবে।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ বলেছিল, আদালতের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। এরপর সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সুপ্রিম কোর্ট জানালো, পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন৯৫৩৩ টি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তারপরে বাকি শূন্যপদের জন্য প্রথম মেধাতালিকার জায়গা না পাওয়া এবং ২০২০-২২ এর চাকরি প্রার্থীদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নেওয়া চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হবে। তবে দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ভর করবে মামলার ফলাফলের ওপর।