Primary TET Case: TET চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন আশা! বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে “প্রশ্ন-ভুল” মামলা

Primary TET Case: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের “প্রশ্ন-ভুল” মামলা একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ থেকে এই মামলাটি এখন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। এই মামলাটি মূলত ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট এর প্রশ্নপত্রের ভুলের অভিযোগ নিয়ে, এবং এর রায়ের ওপর বহু চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
কেন এই মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় (TET) কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তরে ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ভুলের কারণে অনেক যোগ্য প্রার্থী হয়তো সঠিক নম্বর পাননি এবং তাদের চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আদালতে মামলা করা হয়। এই মামলার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রশ্নপত্রের ভুল সংশোধন করে চাকরিপ্রার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করা।
নতুন বেঞ্চ এবং আশার আলো
এই মামলাটি প্রথমে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে চলছিল, কিন্তু সম্প্রতি তা বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই পরিবর্তনকে চাকরিপ্রার্থীরা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। এর কারণ হলো, বিচারপতি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এর আগেও এই ধরনের মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে রায় গেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪ সালের TET (২০১৭ সালের নিয়োগ) পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন-ভুল মামলায় তাঁর রায়ের ফলে ৭৩৮ জন চাকরি পেয়েছিলেন। এই অতীত অভিজ্ঞতা চাকরিপ্রার্থীদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে যে, এবারও তারা ন্যায়বিচার পাবেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং তার কাজ
আদালতের নির্দেশে, এই মামলার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বোর্ডের সদস্যরা রয়েছেন। কমিটির প্রধান কাজ হলো প্রশ্নপত্রের উত্তরগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা এবং একটি রিপোর্ট তৈরি করা। আদালত এই কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বোর্ড জানিয়েছে যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং শীঘ্রই তা সম্পন্ন হবে। আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, এই বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং এখন দ্রুত এর নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
বর্তমান পরিস্থিতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, মামলাটি এখন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে শুনানি হবে, যা একটি বড় অগ্রগতি। অর্ডার কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই মামলার মূল বিষয় হলো উত্তরপত্রের সঠিকতা যাচাই করা এবং তার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষাবিদ্যা, ইংরেজি ভাষা এবং গণিতের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। বর্তমানে মামলাটি তালিকা থেকে সরানো হয়েছে, তবে যেকোনো সময় এটি আবার উল্লেখ করা যেতে পারে। চাকরিপ্রার্থীরা এখন বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের এবং নতুন বেঞ্চে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই এই মামলার একটি চূড়ান্ত এবং ন্যায্য সমাধান হবে, যা বহু যোগ্য প্রার্থীর মুখে হাসি ফোটাবে।