Recriutment: রাজ্যে ৪৪,২০৩টি শূন্যপদে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ঘোষণা! ৩০শে মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

Recriutment: পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! রাজ্যের স্কুলগুলিতে বহু প্রতীক্ষিত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ঘোষণা করলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মোট ৪৪,২০৩টি শূন্যপদে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। আগামী ৩০শে মে, ২০২৫ তারিখে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। একদিকে নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যেমন খুবই খুশির বিষয় অপরদিকে চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া কী হয় সেটাই দেখার।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- হাইকোর্টের নির্দেশ পালন: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, প্রাথমিকভাবে ২৪,২০৩টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
- অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি: রাজ্য সরকার আরও অতিরিক্ত ১৯,০০০ পদ সৃষ্টি করেছে, যা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে মোট শূন্যপদের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪৪,২০৩।
- বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ: এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণী, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি স্তরের বিভিন্ন শূন্যপদ পূরণ করা হবে।
- নবম-দশম শ্রেণীর জন্য: ১১,৫১৭টি পদ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য: ৬,৯১২টি পদ
- গ্রুপ সি-এর জন্য: ৫৭১টি পদ
- গ্রুপ ডি-এর জন্য: ১,০০০টি পদ (এই সংখ্যাটি পূর্বে ঘোষিত ২৪,২০৩ এর অতিরিক্ত কিনা, নাকি তার অংশ, তা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট হবে)
- আবেদন প্রক্রিয়া: যোগ্য প্রার্থীরা ১৬ই জুন, ২০২৫ থেকে ১৪ই জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
- বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ: নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, আবেদন পদ্ধতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী ৩০শে মে, ২০২৫ তারিখের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হবে।
আরো পড়ুন: SSC শিক্ষক নিয়োগে বিরাট রদবদল, কী কী নতুন নিয়ম আসছে?
এই বিশাল সংখ্যক নিয়োগ নিঃসন্দেহে রাজ্যের বহু যোগ্য প্রার্থীর জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা শিক্ষকতা এবং সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বিরাট সুযোগ। আবেদনকারীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তাঁরা যেন ৩০শে মে প্রকাশিত হতে চলা বিজ্ঞপ্তিটি খুব ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়েন এবং আবেদন করার আগে সমস্ত নির্দেশাবলী সঠিকভাবে বুঝে নেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ বর্তমান এসএসসি নিয়োগ জটিলতা দূর, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।