Sangrami Joutha Mancha: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া ডিএ না দিলে নবান্ন অভিযানের ডাক ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের’, শনিবার দিন ঘোষণা?

Sangrami Joutha Mancha: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে আবারও উত্তাল হতে চলেছে রাজ্য রাজনীতি। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে সরকারি কর্মচারীদের এই সংগঠন। এবার তাদের হুঁশিয়ারি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া ডিএ না মেটানো হলে সরাসরি নবান্ন অভিযানের পথে হাঁটবেন তারা। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং দিনক্ষণ ঘোষণা করার জন্য আগামী শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হতে পারে। এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্য সরকার এবং আন্দোলনকারী কর্মচারীদের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কী বলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায়কে সম্মান জানাচ্ছে না। বারবার সময় নষ্ট করে তারা কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে যে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি মডিফিকেশন পিটিশন দাখিল করার চেষ্টা করছে, যাতে ডিএ পেমেন্ট আরও বিলম্বিত করা যায়। এটা আসলে সময় নষ্ট করার একটা কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।”
আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ
- ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ রাজ্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বকেয়া ২৫% ডিএ ঘোষণা এবং প্রদানের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
- নবান্ন অভিযান: যদি সরকার এই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ নবান্ন অভিযানের ডাক দেবে। এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
- আইনি লড়াই: মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সরকার ডিএ মেটানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি, যা সরাসরি আদালতের অবমাননা।
রাজ্য সরকারের অবস্থান
এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সরকার আর্থিক সংকটের কারণ ও তথ্যের অভাবের কারণ দেখিয়ে ডিএ প্রদান পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। মঞ্চের অভিযোগ, সরকার আসলে “লক্ষ্মীর ভান্ডার”-এর মতো প্রকল্পগুলিকে চালু রাখার জন্য ডিএ প্রদান করতে চাইছে না, কারণ এই প্রকল্পগুলি তাদের ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
সব মিলিয়ে, বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের এই সংঘাত এক নতুন মোড় নিতে চলেছে। আগামী শনিবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কী ঘোষণা করে কিংবা রাজ্য সরকার তার আগেই কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মচারী ও পেনশন প্রাপক। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই হুঁশিয়ারি রাজ্য রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার।