SJM Protest: ডিএ, নিয়োগ, স্থায়ীকরণ – দাবি আদায়ে মরিয়া সরকারি কর্মীরা, পথে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

SJM Protest: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে আগামী ২৮শে জুলাই এক ঐতিহাসিক ‘নবান্ন চলো’ অভিযানের ঘোষণা করা হয়েছে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) প্রদান এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদায় করা।
মূল দাবিগুলি
- স্বচ্ছ নিয়োগ: রাজ্যের প্রায় ৬ লক্ষ শূন্যপদে অবিলম্বে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
- শিক্ষকদের পুনর্বহাল: যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ২০১৬ সালের প্যানেল পুনরায় প্রকাশ করতে হবে।
- বকেয়া ডিএ: সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ২৫% বকেয়া ডিএ অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।
- অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ: সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
- নারী সুরক্ষা: সরকারি দপ্তরে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
আগামী কর্মসূচী
- নবান্ন অভিযান: ২৮শে জুলাই দুপুর ১২টায় হাওড়া স্টেশন থেকে ‘নবান্ন চলো’ অভিযান শুরু হবে। পুলিশ যেখানেই বাধা দেবে, সেখানেই শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে।
- শহীদ দিবস পালন: ২১শে জুলাই ধর্মতলায় ‘শহীদ দিবস’ পালন করা হবে। এই দিনে সরকারি নীতির কারণে রাজ্যের মেধা ও শ্রমের “শহীদ” তুলে ধরা হবে।
- প্রতিবাদ সভা: ৯ই আগস্ট আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে অভয় মঞ্চের ডাকা প্রতিবাদে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।
ভাস্কর ঘোষের বক্তব্য
মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “এই লড়াই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আমরা আমাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটব না।” তিনি আরও বলেন যে, ২৮শে জুলাইয়ের ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি শেষ নয়, দাবি আদায় না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন কর্মচারী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সংগঠনগুলির ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। তাদের সম্মিলিত দাবি এবং আগামী কর্মসূচীর ফলে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এই দাবিগুলির বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।