Special Intensive Revision: কেন বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ল এতো নাম? রেজাল্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

Special Intensive Revision: বিহারের বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া, যা ২৪শে জুন, ২০২৫ থেকে ২৫শে জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত চলেছিল, তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই পরিমার্জনের লক্ষ্য ছিল ভোটার তালিকাকে আরও স্বচ্ছ এবং নির্ভুল করে তোলা। ভারতের নির্বাচন কমিশন ২৭শে জুলাই তাদের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এই পরিমার্জনের প্রধান দিকগুলো এবং তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।
বিহার ভোটার তালিকা: বিশেষ নিবিড় পরিমার্জনের ফলাফল
বিহারের বিশেষ নিবিড় পরিমার্জনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি রাজ্যের ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকা থেকে মৃত, স্থানান্তরিত এবং একাধিকবার নাম থাকা ভোটারদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আসুন, এই পরিমার্জনের প্রধান দিকগুলি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মূল বিষয়বস্তু
- ফর্ম সংগ্রহ: এই অভিযানে ৯১.৬৯% ভোটারের ফর্ম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এটি একটি বড় সাফল্য, যা ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করে।
- অনুপস্থিত ভোটার: বাকি ৮.৩১% ভোটারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ২.৮৩% (২২ লক্ষ) মৃত এবং ৪.৫৯% (৩৬ লক্ষ) স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত বা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
- একাধিকবার নাম থাকা: ০.৮৯% ভোটারের নাম একাধিক জায়গায় থাকার কারণে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
“খুঁজে পাওয়া যায়নি” বিভাগের ব্যাখ্যা
যেসব ভোটারদের “খুঁজে পাওয়া যায়নি” বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- অন্য রাজ্যে ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছেন।
- তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বা তাদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
- ২৫শে জুলাইয়ের মধ্যে ফর্ম জমা দেননি।
- বিভিন্ন কারণে ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে অনিচ্ছুক।
পরবর্তী পদক্ষেপ
খসড়া ভোটার তালিকা ১লা আগস্ট, ২০২৫-এ প্রকাশিত হবে। এরপর ১লা আগস্ট থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাবি ও আপত্তির জন্য সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রকৃত ভোটাররা তালিকায় নাম যুক্ত করার সুযোগ পাবেন। যাদের নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে, তাদের নাম শুধুমাত্র একটি জায়গায় রাখা হবে, সাধারণত যেখানে তারা বর্তমানে বসবাস করেন।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনএই পরিমার্জন প্রক্রিয়া বিহারের ভোটার তালিকাকে আরও নির্ভুল এবং স্বচ্ছ করতে সাহায্য করবে, যা একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।