SSC 2016 Case: অবশেষে ২৬ হাজার চাকরিবাতিল মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে

SSC 2016 Case: ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এক নতুন মোড় নিতে চলেছে। আগামী ৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ তারিখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা আবেদনের (রিভিউ পিটিশন) শুনানি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভবিষৎ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আবেদনের প্রেক্ষাপট এবং তাৎপর্য
এই পর্যালোচনা আবেদনটি “যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ”-এর পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এটি বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে দায়ের করা পর্যালোচনা আবেদনগুলির শুনানি এখনও বাকি রয়েছে। যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের এই আবেদনটি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের সেই চূড়ান্ত রায়কে চ্যালেঞ্জ করে, যা এই বছরের ৩রা এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ঘোষিত হয়েছিল। সেই রায়ে, ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়।
এই মঞ্চের মূল উদ্দেশ্য হলো সেই সমস্ত যোগ্য শিক্ষকদের সম্মান পুনরুদ্ধার করা, যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই এবং যারা স্বচ্ছভাবে চাকরি পেয়েছিলেন। তাদের আবেদন, সুপ্রিম কোর্ট যেন তার পূর্বের রায় পুনর্বিবেচনা করে এবং যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে পার্থক্য করে।
শুনানির বিবরণ এবং সম্ভাব্য ফলাফল
আগামী ৪ঠা আগস্টের শুনানিটি এই মামলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সুপ্রিম কোর্ট এই পর্যালোচনা আবেদনটি গ্রহণ করে, তবে এই মামলার নতুন করে শুনানির পথ খুলে যাবে। সেক্ষেত্রে, আদালত যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদাভাবে বিবেচনা করার নির্দেশ দিতে পারে। এর ফলে, যারা সৎভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে।
তবে, যদি আদালত এই আবেদনটি খারিজ করে দেয়, তবে ৩রা এপ্রিলের রায়ই বহাল থাকবে এবং সমস্ত চাকরি বাতিল বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে, রাজ্য সরকারকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, যা একটি সময়সাপেক্ষ এবং জটিল প্রক্রিয়া হবে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিক্রিয়া
যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের এই পদক্ষেপে রাজ্যের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা আশার আলো দেখছেন। তাদের মতে, কিছু অযোগ্য প্রার্থীর জন্য সমস্ত যোগ্য শিক্ষকদের শাস্তি দেওয়া অনুচিত। তারা আশা করছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে এবং ন্যায়বিচার প্রদান করবে।
এই মামলার চূড়ান্ত রায় যাই হোক না কেন, এটি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলবে। আগামী দিনে এই মামলার প্রতিটি পদক্ষেপের উপর আমাদের নজর থাকবে এবং আমরা সমস্ত আপডেট আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব।