চাকরি

SSC Case: পেছনের দরজা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা! ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হতেই পর্দাফাঁস, বাতিল হলো অ্যাডমিট কার্ড

SSC Case: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক নতুন মোড়। সুপ্রিম কোর্টের কঠোর নির্দেশের পর, প্রায় ১৮০৪ জন ‘অযোগ্য’ ঘোষিত চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে প্রায় ৭৮% অর্থাৎ ১৪০০ জন প্রার্থী পুনরায় পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন। কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়েছে, যা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আবারও বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল।

ঘটনার প্রেক্ষাপট

সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বহু ‘অযোগ্য’ প্রার্থী টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে, এসএসসি-র পক্ষ থেকে ১৮০৪ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের একটা বড় অংশ আবারও নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করে।

সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ

সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে। বিচারপতিদের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় যে, কোনো ‘অযোগ্য’ প্রার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। যদি একজনও এমন প্রার্থী পরীক্ষায় বসেন, তাহলে সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের এই কড়া অবস্থানের পরেই নড়েচড়ে বসে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

অ্যাডমিট কার্ড বাতিল

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবম-দশম শ্রেণির জন্য ১১৮০ জনের এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১০২০ জনের অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২,১৬০টি অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়, যা ওই ১৪০০ জন ‘অযোগ্য’ আবেদনকারীর সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, একটা বড় সংখ্যক ‘অযোগ্য’ প্রার্থী পেছনের দরজা দিয়ে আবার সিস্টেমে ঢোকার চেষ্টা করছিল।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

কী ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ঘটনা?

এই ঘটনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে:

  • দুর্নীতির গভীরতা: ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হওয়ার পরেও এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর পুনরায় আবেদন করা এটাই প্রমাণ করে যে, দুর্নীতির শিকড় কতটা গভীরে পৌঁছেছে।
  • বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা: সুপ্রিম কোর্টের মতো বিচার ব্যবস্থার কঠোর হস্তক্ষেপ না থাকলে, এই ‘অযোগ্য’ প্রার্থীরা হয়তো আবার পরীক্ষায় বসে যেত এবং গোটা প্রক্রিয়াটি আরও একবার কলুষিত হতো।
  • স্বচ্ছতার অভাব: কমিশনের আভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় যে এখনও অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।

ভবিষ্যতের পথ

এই ঘটনা রাজ্য সরকারের এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং যোগ্য প্রার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা আশা করছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই কঠোর মনোভাব আগামী দিনে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে সাহায্য করবে।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button