SSC Case Update: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির নতুন মামলা: শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়াতে আবেদন, ব্রাত্য গ্রুপ সি-ডি?
SSC Case Update: পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Secondary Education) আবারও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জট এবং চাকরি বাতিলের নির্দেশের মাঝেই স্কুলগুলোতে পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখতে রাজ্য সরকার নতুন করে এই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। রবিবার, ১২ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই মামলাটি ফাইল করা হয়েছে, যা রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে এই নতুন মামলার খুঁটিনাটি এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মামলার বিস্তারিত তথ্য
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে যে নতুন মিসলেনিয়াস অ্যাপ্লিকেশন (MA) ফাইল করেছে, তার প্রাথমিক তথ্যগুলি নিচে দেওয়া হলো:
| বিবরণ | তথ্য |
|---|---|
| পিটিশনার | পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) |
| রেসপন্ডেন্ট | বৈশাখী ভট্টাচার্য চ্যাটার্জি এবং অন্যান্য |
| ডায়েরি নম্বর | ৭২১২৪/২০২৫ (72124/2025) |
| ফাইলিং তারিখ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ (সন্ধ্যা ৮:০১) |
| আইনজীবী | হিমা লরেন্স (Hima Lawrence) |
| বর্তমান স্ট্যাটাস | পেন্ডিং (Pending) |
কেন এই নতুন আবেদন?
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই নতুন এমএ (MA) ফাইল করার পেছনে মূলত দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশে এসএসসির মাধ্যমে নিযুক্ত অযোগ্য শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলেও, স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট মোকাবিলার জন্য তাদের চাকরির মেয়াদ ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনপর্ষদের যুক্তি অনুযায়ী:
- মেয়াদ বৃদ্ধি: পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা শেষ হতে চললেও রাজ্য সরকার এখনও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। তাই স্কুলগুলোতে যাতে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়, তার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে।
- শ্রেণিভিত্তিক সময়সীমা: রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে একাদশ-দ্বাদশ (11-12) শ্রেণীর শিক্ষকদের জন্য জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এবং নবম-দশম (9-10) শ্রেণীর শিক্ষকদের জন্য মার্চ মাস পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ভবিষ্যৎ কী?
এই মামলার নথিপত্রে একটি উদ্বেগজনক বিষয় সামনে এসেছে। পর্ষদ শিক্ষক বা টিচিং স্টাফদের (Class 9-12) চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও, গ্রুপ সি (Group C) এবং গ্রুপ ডি (Group D) অর্থাৎ নন-টিচিং স্টাফদের বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেনি। ফলে এই কর্মীদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি বা সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের বিষয়ে রাজ্য সরকার এই আবেদনে কোনো প্রস্তাব না রাখায় কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হতে পারে।
পূর্ববর্তী মামলার সাথে সংযোগ ও ভবিষ্যৎ
এই নতুন মামলাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, বরং এটি পূর্বের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আদেশের সাথে সংযুক্ত। বিশেষ করে এস৪০৫/২০২৫ (S405/2025) এবং এমএ ৭০৯/২০২৫ (MA 709/2025) মামলার সূত্র ধরেই এই নতুন আবেদন। নতুন ফাইলে ১৮৩৫৯/২০২৫ এবং এমএ ০০৭০৯/২০২৫ মামলাগুলোকে ট্যাগ করা হয়েছে।
সম্ভাব্য শুনানি:
আদালতের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই, অর্থাৎ ১৯ তারিখের মধ্যে এই মামলার শুনানি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি জাস্টিস সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্চ মাসের পর শিক্ষকদের বেতন পাওয়া বা চাকরির মেয়াদ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই নবম-দশম শ্রেণীর ফলাফলে যে সমস্ত যোগ্য শিক্ষক (Untainted Teachers) সুযোগ পাননি, তাদের এবং ২০১৬ সালের প্যানেলের বৈধ শিক্ষকদের নিজেদের অধিকার রক্ষায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।