SSC Case Update: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় অযোগ্যদের বিষয়ে তীব্র ভৎসনা সুপ্রিম কোর্টের! তিনটি মামলায় কী কী হল দেখুন

SSC Case Update: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এর ২৬,০০০ চাকরি বাতিল মামলা নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে এক গুরুত্বপূর্ণ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে এবং সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যার ফলে অযোগ্য প্রার্থীদের আর কোনো আশাই রইল না।
আজকের শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে তিনটি প্রধান মামলার শুনানি হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাজ্য সরকারের দায়ের করা বিবিধ আবেদন। শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট অযোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
আদালতের কঠোর মনোভাব
শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন যে, কলকাতা হাইকোর্ট যখন স্পষ্টভাবে “দাগী” প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে নিষেধ করেছিল, তখন এসএসসি কেন তাদের অ্যাডমিট কার্ড জারি করল? আদালত এই ঘটনাকে “বেদনাদায়ক” বলে অভিহিত করে এবং বলে যে এসএসসি নিজেই নিজেদের প্রার্থীদের সমর্থন করছে, ওএমআর শিট বিকৃত করছে এবং এই “দাগী” প্রার্থীদের পুনরায় নিয়োগের চেষ্টা করছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বিচার ব্যবস্থার প্রতি একটি গুরুতর আঘাত বলে আদালত মনে করে।
আবেদনকারীদের আইনজীবীদের যুক্তি
আবেদনকারীদের আইনজীবীরা আদালতে জানান যে তাদের মক্কেলরা নির্দোষ এবং পূর্ববর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন। তারা আরও বলেন যে, ২০১৬ সালে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য যে শূন্যপদ ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০২৫ সালের মধ্যে তা অর্ধেক হয়ে গেছে। এই যুক্তিতে তারা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আরও সময় চান।
আদালতের যুক্তি প্রত্যাখ্যান
সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীদের সমস্ত যুক্তি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি বলেন যে এই বিষয়গুলি ইতিমধ্যে বিবেচনা করা হয়েছে এবং এই ধরনের মামলা আগেও শোনা হয়েছে। আদালত স্পষ্ট করে দেয় যে, যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বা বিভাগে যোগ্য, নির্দোষ প্রার্থীদের জন্য কোনো শূন্যপদ না থাকে, তবেই আদালত বিষয়টি বিবেচনা করবে। আবেদনকারীদের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের নিয়োগের বিবরণ (পদ, স্তর, বিষয়) পরিষ্কারভাবে জানাতে না পারায় বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আর কোনো সময় দিতে অস্বীকার করে এবং জানিয়ে দেয় যে পরীক্ষা পেছানো হবে না।
মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি
শেষ পর্যন্ত, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার মূল মামলাটি খারিজ করে দেন এবং বলেন যে আদালত এই বিষয়গুলি পূর্ববর্তী রায়ে ইতিমধ্যে বিবেচনা করেছে। বিবিধ আবেদনটিও খারিজ করা হয় কারণ আদালত এই ধরনের এসএলপি আগে শুনেছে এবং কোনো সহানুভূতি দেখানোর কারণ খুঁজে পায়নি। ফলস্বরূপ, এসএসসি এবং এসএলএসটি সম্পর্কিত সমস্ত মামলা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয় এবং আবেদনকারীদের কোনো রকম স্বস্তি দেয়নি। এই রায়ের ফলে, ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হল।